সেক্ষেত্রে অনুব্রত এক কোটি ও দ্বিতীয়টি লক্ষ টাকা জিতেছিলেন পুরস্কার হিসাবে। সুকন্যা মণ্ডল লটারি মাধ্যমে দফায় দফায় ২৫ লক্ষ, ২৬ লক্ষ ও ৫০ লক্ষ টাকা জিতেছিলেন। সিবিআইয়ের দাবি, বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করতে লটারিকে মাধ্যম হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বছর খানেক আগে অনুব্রত মণ্ডল একটি জনপ্রিয় লটারিতে এক কোটি টাকার পুরস্কার পান। সেই লটারি যে দোকান থেকে ইস্যু হয়েছিল সেই লটারি ব্যাবসায়ীকে তলব করে বয়ান রেকর্ড করেছিল সিবিআই।
advertisement
আরও পড়ুন: পার্থপ্রতিম রায়ের গাড়িতে বোলেরোর ধাক্কা, বড় দুর্ঘটনার কবলে তৃণমূল নেতা!
সিবিআই সূত্রে খবর, বোলপুরে লটারির দোকানেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। পরবর্তী কালে আরো এরকম মোট পাঁচটি লটারির হদিস পায় সিবিআই। সিবিআইয়ের প্রশ্ন, কে কিনেছিলেন ওই লটারি? অনুব্রত না অন্য কেউ কিনেছিলেন ? কীভাবে কোটি কোটি টাকা পেলেন ? লটারি পুরস্কারের পিছনে কি অন্য রহস্য?
আরও পড়ুন: 'ডিসেম্বরে সবাই ভালোই থাকবেন', চন্দ্রিমার মন্তব্যে তুঙ্গে জল্পনা
সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচার বা বেআইনি কালো টাকা সাদা করার জন্য কি লটারি ইস্যু করা হয়েছিল? গোয়েন্দাদের অনুমান, গরু পাচারে কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছে। ফলে কোথায় কীভাবে ব্যবহার হয়েছে তা যাচাই করতে চাইছে সিবিআই। সব মিলে অনুব্রত মণ্ডল ও সুকন্যা মণ্ডল পাঁচটি লটারি মিলে কোটি কোটি টাকা পুরস্কার হিসাবে পেয়েছিলেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। এবার অনুব্রত মণ্ডলের পর এনামুল হক লটারির মাধ্যমে পঞ্চাস লক্ষ টাকা পুরস্কার হিসাবে প্রাপ্তির হদিস পেলো সিবিআই। গোয়েন্দাদের অনুমান, কালো টাকা সাদা করার জন্য লটারি মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করত!