সূত্রের খবর, এই বিশেষ গরু বাংলাদেশে পাচার করলেই মোটা টাকার কামাই এনামুল কোম্পানির।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, যে উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য বিশেষ করে হরিয়ানা, ,পঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশ থেকে ট্রাকে করে এ রাজ্যের বিভিন্ন গরু হাটে আনা হতো গরু। মূলত এই গরুর ট্রাক এলেই এবং তার মধ্যে বিশেষ উন্নত গরু এলেই নির্দিষ্ট সেই হাটের ছোটো মাফিয়াদের কাছ থেকে খবর চলে যেত এনামুলের কাছে। ব্যাস খবর পাওয়া মাত্রই সেই হাটে হাজির হয়ে যেত এনামুলের টিম। অল্প টাকার বিনিময়ে ওই উন্নত মানের গরু নিজেদের কব্জায় করে নিতেন এনামুলের লোক জন।
advertisement
আরও পড়ুন-বড়লোকদের তালিকায় নাম থাকায় গর্বিত, সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় সরব অনুপম হাজরা
মূলত 'বোল্ডার' প্রজাতির গরু রাজ্যের বিভিন্ন হাটে থেকে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনে নিতে এনামুলের টিম।
এই বোল্ডার প্রজাতির গরু কেনার পরই বিশেষ স্ট্যাম্প এবং নম্বর সাঁটিয়ে দেওয়া হতো গরুর গায়ে। তারপর সেই গরু পাচারের জন্যে চলে যেত বিভিন্ন পয়েন্টে এবং সময় বুঝে পাচার হয়ে যেত বাংলাদেশে।
ওই বিশেষ স্ট্যাম্প এবং নম্বর দেখে কেউ গরু বোঝাই গাড়ি রাস্তায় আঁটকানোর সাহস দেখাতো না। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে এই বিশেষ প্রজাতির গরু বোল্ডার বেশি আসতো ইলামবাজারের গরু হাটে।
আরও পড়ুন- ৯২ বছরে প্রয়াত অলিম্পিয়ান বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, শোকের ছায়া ময়দানে
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই 'বোল্ডার' প্রজাতির গরুর গায়ের রং কার্যত হালকা লালচে আর এই গরুর পা লম্বা এবং বড় সিং ওয়ালা। জানা গিয়েছে যে এই বোল্ডার গরুর ওজন প্রায় ২ কুইন্টালের বেশি হয়।
বাংলাদেশে বিভিন্ন উৎসবের সময় এই গরুর চাহিদা সবথেকে বেশি ৷ এই জায়গা থেকেই বোল্ডার গরু পাচার করেই এনামুলের মোটা টাকার আয় হতো।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল যদি কোনও ছোট মাফিয়া বাংলাদেশে গরু পাচার করতো তাকে এনামুলের কাছে বিশেষ অনুমতি নিতে হত। সেই অনুমতি নিতে এনামুলকে দিতে হত মোটা টাকার কমিশন। এই ছোট পাচারকারীদের বিষয়ে খোঁজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।