কেন এই সিদ্ধান্ত?
পরিসংখ্যান বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই শহরের বহুতল আবাসনগুলিতে ভোটদানের হার আশানুরূপ নয়। সাধারণত ভোটদানের গড় যেখানে অনেক বেশি, সেখানে বহুতলগুলিতে সর্বাধিক ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়ে। ফলে প্রতিবার নির্বাচনের পরই বহুতল এলাকার ভোটারদের নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অনেকেই ভোট দিতে যেতে চান না, আবার অনেকে দূরত্ব বা অন্যান্য সমস্যার কারণে বুথে যান না। কমিশনের মতে, যদি বহুতলগুলির ভেতরেই বুথ করা যায়, তাহলে অনেকেই আর আলাদা করে বাইরে যেতে অনীহা দেখাবেন না।
advertisement
রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! ২২আগস্ট থেকে চালু হচ্ছে নতুন লোকাল ট্রেন! কোন রুটে দেখে নিন
গরম যতই বাড়ুক চড়চড়িয়ে বাড়বে না ইলেকট্রিক বিল! ১০০ ইউনিট কমান প্রতি মাসে! কী ভাবে? জেনে নিন ‘ট্রিক’
কী পরিকল্পনা করছে কমিশন?
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে, কোন কোন বহুতলে বুথ করা যেতে পারে তার বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করতে। শর্ত রাখা হয়েছে, ওই বহুতলে অন্তত ৬০০ জন ভোটার থাকতে হবে। থাকলে সেখানেই বুথ বসানো হবে।
কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, এই রিপোর্ট জেলাশাসকদের জমা দিতে হবে আসন্ন শুক্রবারের মধ্যে। তবে এর আগেও একবার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু বেশিরভাগ জেলার দেওয়া রিপোর্টে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর হতাশ হয়েছিল। তাই এবার কমিশন পরিষ্কার জানিয়েছে, শুধু সংখ্যা নয়, বাস্তব পরিস্থিতি ও প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখতে হবে।
কারা থাকবেন আলোচনায়?
রিপোর্ট তৈরি করার আগে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট বহুতল আবাসনের কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যদের সঙ্গে বসতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রশাসন, রাজনৈতিক দল এবং আবাসন কর্তৃপক্ষ—তিন পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতেই তৈরি হবে এই রিপোর্ট।
কমিশনের আশা
কমিশনের মতে, যদি এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয়, তাহলে একদিকে ভোটদানের হার বাড়বে, অন্যদিকে বহুতলবাসীদের ভোটের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ আরও সহজ হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শহরের নির্বাচনে বহুতলবাসীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ না হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পূর্ণতা পায় না। তাই কমিশনের এই উদ্যোগ গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।