বিহার ও বাংলা, দুই রাজ্যের বিধানসভার ভোট দোরগোড়ায় আর তারই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন নিয়ে তোলপাড় পরে গিয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে এসআইআর নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা । বিশেষ করে বিহারে এসআইআর চালু হওয়ার পর বিরাট সংখ্যক ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাওয়াতেই শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
advertisement
এই প্রসঙ্গে আজ, রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে এসআইআর নিয়ে তোলা একাধিক প্রশ্নের উত্তর। ‘এসআইআর নিয়ে তাড়াহুড়ো কেন?’ এই প্রশ্ন তুলে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও দাবি নির্বাচন কমিশনের। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “আপনারাই বলুন, নির্বাচনের আগে ভোটারলিস্টের শুদ্ধিকরণ হবে না তো, হবে কখন? ২০০৩ সালেও জুলাই মাসেই বিহারে এসআইআর করা হয়েছিল। তখনও সফলভাবে এসআইআর হয়েছিল বিহারে।
কমিশনের তরফে বিহারে ভোটার লিস্টে নাম বাতিল প্রসঙ্গে বলা হয়, “সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের ৫৬ ঘণ্টার মধ্যে সব জেলার নাম বাদ যাওয়া ব্যক্তিদের নামের তালিকা ওয়েবসাইটে আলাদা করে প্রকাশ করেছে। আপনারাও চাইলে যাচাই করতে পারেন।”
জ্ঞানেশ কুমার এদিনের বৈঠকে জানান, “যখনই ভোটার তালিকার রিভিশন হয়, তখন তার প্রক্রিয়া একই হয়। যেটা আপনাদের আমি জানালাম। আমাদের কাছে যখন সব ক্লেইম এবং অভিযোগ এসে যায়, তখন ইআরও সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ড্রাফট তালিকা এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রতিটি রাজনৈতিক দলগুলিকে দেওয়া হয়। ইসিআইয়ের ওয়েবসাইটেও রাখা থাকে ভোটার তালিকা। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরও ক্লেইম জানানোর সুযোগ থাকে ডিএম এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সিইওর কাছে।”
ভোটার তালিকার সংশোধনের প্রক্রিয়া সবিস্তারে জানিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এই পদ্ধতি অনুযায়ী, চূড়ান্ত তালিকার উপর ভিত্তি করেই নির্বাচন হয়। গোটা প্রক্রিয়াটি ডিসেন্ট্রালাইজড হয়ে থাকে। রিটার্নিং অফিসার রেজাল্ট ঘোষণা করার পরও সুযোগ থাকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালতে গিয়ে আবেদন করার। কিন্তু এই ৪৫ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর এভাবে অভিযোগ তোলা, কেরল হোক বা বিহার হোক বা অন্যত্র। ৪৫ দিনের সময়সীমা পেরোনোর পর কেন রাজনৈতিক দলগুলি এই প্রশ্ন তুলছেন সেটা মানুষ বুঝছেন।”
