উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, দমদম, যাদবপুর— এই চারটি সাংগঠনিক জেলার মোট ২৮টি বিধানসভা আসনের পরিস্থিতির পূর্ণাঙ্গ ম্যাপিং করবে বিজেপি। গত কয়েকটি নির্বাচনে কোন আসনে কেমন ফল হয়েছে। কোথায় তৃণমূলের সঙ্গে ব্যবধান কত। কোন এলাকায় কোনটা প্রধান ইস্যু। কোথায় মুসলিম জনসংখ্যা কেমন? তফসিলি ভোটের পরিমাণ কোথায় কত? এমন নানা তথ্য হাতে নিয়ে আসনগুলির পরিস্থিতির পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ হবে। সেই বিশ্লেষণের ভিত্তিতে কলকাতা ও শহরতলির এই অংশে ভোটের রণকৌশল নির্ধারিত করবে গেরুয়া শিবির।
advertisement
ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোতে চায় বিজেপি। ২৬-র ভোটে রাজনৈতিক প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘ব্যক্তিগত’ আক্রমণে সতর্ক থাকতে চাইছে গেরুয়া শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে নিশানা করতে গিয়ে বাংলার মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লাগামছাড়া আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুন: গুগলে কী ‘সার্চ’ করলে আপনার ‘জেল’ হতে পারে জানেন…? গ্যারান্টি, চমকে উঠবেন শুনলেই!
২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গের ভোট প্রস্তুতিতে বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। রাজ্য সরকারের নীতিগত ব্যর্থতা ও দুর্নীতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানাবে বিজেপি। তা নিয়ে প্রচারে ঝড় তুলবেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত আক্রমণ কম থাকবে।
কয়েকদিন আগে হওয়া বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশাল, সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব, সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বিপ্লব দেব ছিলেন। বঙ্গ বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্ব ছিলেন। আরএসএসের পক্ষে কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও এই রাজ্যের কয়েকজন শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে।
