পুরসভার সঙ্গে কথা বলে বসানো হবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি। আর এভাবেই তাদের প্রিয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে কাছে টানতে চান ক্লাব সদস্যরা৷ চার দিন পেরিয়ে গেলেও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করে দিচ্ছেন সকলে৷ এখনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ক্রমাগত এসে চলেছেন ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনসে যে আবাসনে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বসবাস করতেন, সেখানে৷ অনেকেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন৷ অনেকেই আবার এসে দেখা করতে চাইছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। অনেকে আবার একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে এসেই শ্রদ্ধা জানিয়ে যাচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পেট্রোপণ্যে এবার পাল্টা পথে BJP, অনুমতি-হীন কর্মসূচিতে আজ কি রুদ্ধ হবে কলকাতা?
আরও পড়ুন: তাহলে কি দল ছাড়ছেন? দিলীপ ঘোষকে পাল্টা প্রত্যাঘাত তথাগত রায়ের! লিখলেন, 'যতক্ষণ না...'
আরও পড়ুন: বাংলায় ইতিহাস তৈরি করেছে BJP! আত্মসমীক্ষার বদলে মোদি-ম্যাজিকেই আস্থা নাড্ডাদের
১৯৭২ সাল থেকে এই ক্লাব ও পুজো কমিটির সভাপতি ছিলেন প্রয়াত পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী৷ যে পুজো নিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলতেন, ''আমি থিম করি না, আমি পুজো করি৷'' ক্লাব সদস্যদের অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছে না যে সুব্রত মুখোপাধ্যায় আর নেই৷ অনেকেই বলছেন, 'দাদা বাইরে কোথাও তিন-চারদিনের জন্যে ছুটি নিয়ে মিটিং করতে গেছেন। দাদা ঠিক ফিরে আসবেন।' ক্লাবে ঢুকতেই যে চেয়ার-টেবিলে বসে সময় কাটাতেন, আড্ডায়, গল্পে মশগুল হয়ে উঠতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় সেখানে এখনও জ্বলছে প্রদীপ। পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখা আছে তার সব কিছু।ইতিমধ্যেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আবাসনে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সস্ত্রীক ফিরহাদ হাকিম। রাজনৈতিক সতীর্থরা বলছেন "সব আছে শুধু সুব্রত দা আর নেই।" সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র বালিগঞ্জের সাতটি ওয়ার্ডেই হবে স্মরণ সভা। এছাড়া দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের তরফ থেকেও আলাদা সভার আয়োজন করা হচ্ছে।