দিল্লির আদালতে ইডি একটি আবেদন করেছে ইতিমধ্যেই। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সায়গাল এখন আসানসোল জেলে। তাঁকে দিল্লি ইডি অফিসাররা জেরা করতে চাইছেন।
ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর থেকে সায়গালের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে সিবিআই। গরু পাচারে সায়গালের ভূমিকা সংক্রান্ত নথি ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে ইডির। সেই কারণেই বেনামি সম্পত্তি ও কোটি কোটি টাকার আর্থিক কারচুপির উৎস জানতে তৎপর হয়েছে ইডি।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রমাণ পেতেই বড্ড বেগ, অনুব্রতকে ফাঁদে ফেলতে কালঘাম ছুটছে সিবিআই-এর!
তবে, সায়গালকে নিয়ে ইডি যখন তৎপর হচ্ছে, তখন অনুব্রতকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে সিবিআই-এর। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ পরিচিত ও আত্মীয়দের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির কথা ইতিমধ্যেই আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচারের টাকাতেই যে সম্পত্তি হয়েছিল, তা প্রমাণ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে সিবিআই তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন: বৈদিক ভিলেজে বঙ্গ বিজেপির পাঠশালা, শিক্ষা দিতে আসছেন 'মাস্টারমশাই'!
কারণ সিবিআই-এর দাবি অনুসারে, পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ ও ডকুমেন্টারি তথ্য প্রমাণ মিলেছে ঠিকই, কিন্তু তা গরু পাচারের টাকাতেই যে বিপুল সম্পত্তি অনুব্রতর পরিচিত ও আত্মীয়দের রয়েছে, তা প্রমাণ করাই সিবিআই-এর কাছে চ্যালেঞ্জ। অনুব্রত মণ্ডল এখনও তদন্ততে সহযোগিতা করেননি বলে দাবি সিবিআই-এর। সেক্ষেত্রে বেনামি সম্পত্তির আয়ের উৎস জানাই এখন সিবিআই-এর কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রসঙ্গত, গতকাল দীর্ঘ সওয়াল জবাব শেষেও জামিন পাননি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর আইনজীবী তাঁর মক্কেলের শারীরিক অবস্থার দোহাই দিয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন। তবে সিবিআই আইনজীবী দাবি করেন, অনুব্রত মণ্ডল প্রভাবশালী। তিনি বাইরে থাকা মানে তদন্তে প্রভাব পড়বে। অনুব্রতর পরিবারের লোকজনের নামেও প্রচুর সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে। এরপরই অনুব্রতকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।