ইডি সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, টেট-এ বসা অযোগ্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়ার জন্য সংশোধিত মেধা তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়েছিল মানিকের কাছে৷ 'আরকে' নামে ওই ব্যক্তির কাছ থেকেই মানিকের কাছে এসেছিল এই তালিকা৷ কারণ মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন৷ ইডি সূত্রের দাবি, ওই তালিকা পাঠিয়ে 'আরকে' নামে ওই ব্যক্তি মানিককে জানান, অযোগ্য প্রার্থীদের এই তালিকা উপরমহল থেকে অনুমোদিত হয়ে এসেছে৷
advertisement
'আরকে' নামে এই ব্যক্তির পরিচয় জানার পাশাপাশি কোন উপরমহলের থেকেই এই বেআইনি মেধা তালিকার অনুমোদন এসেছিল, সেই তথ্যও পেতে চান ইডি কর্তারা৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তাদের আরও দাবি, এই বেআইনি তালিকা মানিক ভট্টাচার্যের ফোন, গুগল ড্রাইভ চল বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসেও মিলেছে৷
আরও পড়ুন: অনুব্রত মামলায় সাক্ষী শতাব্দী, ফেসবুক কাকে 'সততার পাঠ' দিলেন কাজল? জোর জল্পনা
গতকালই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের ডেকে পাঠায় ইডি৷ গভীর রাত পর্যন্ত তাঁকে জেরা করার পর শেষ পর্যন্ত তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে মানিককে গ্রেফতার করা হয়৷ আজই তাঁকে আদালতে তোলা হবে৷
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে মানিক ভট্টাচার্যকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ যদিও ইডি-র দাবি, এই রক্ষাকবচ শুধুমাত্র সিবিআই মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য৷ ইডি-র গ্রেফতারির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই৷ যদিও মানিকের গ্রেফতারির বিষয়টি উল্লেখ করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবেদন জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবীরা৷ আজ দুপুরেই এই মামলার শুনানি হতে পারে৷