গরু পাচার কাণ্ডে জড়িয়েছে এনামুল হকের নাম। তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা বিভিন্ন প্রজাতির গরু পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গরু হাটে আসতো। এরই মধ্যে এক বিশেষ প্রজাতির গরু 'বোল্ডার' এলেই চলে যেত টিম এনামুলের কব্জায়। কার্যত উত্তর ভারতের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের উপরে চাপ সৃষ্টি এবং সেটিং করে এই প্রজাতির গরু নিজের কব্জায় করে নিতেন এনামুল। সূত্রের খবর, এই বিশেষ গরু বাংলাদেশে পাচার করলেই মোটা টাকার কামাই এনামুল কোম্পানির।
advertisement
আরও পড়ুন: মাতৃবিয়োগ প্রধানমন্ত্রীর, তবু 'কর্মে' বিরতি নয়! ভার্চুয়ালি কলকাতার একগুচ্ছ অনুষ্ঠানে থাকবেন মোদি
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, যে উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য বিশেষ করে হরিয়ানা, ,পঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশ থেকে ট্রাকে করে এ রাজ্যের বিভিন্ন গরু হাটে আনা হতো গরু। মূলত এই গরুর ট্রাক এলেই এবং তার মধ্যে বিশেষ উন্নত গরু এলেই নির্দিষ্ট সেই হাটের ছোটো মাফিয়াদের কাছ থেকে খবর চলে যেত এনামুলের কাছে। ব্যাস খবর পাওয়া মাত্রই সেই হাটে হাজির হয়ে যেত এনামুলের টিম। অল্প টাকার বিনিময়ে ওই উন্নত মানের গরু নিজেদের কব্জায় করে নিতেন এনামুলের লোক জন। মূলত 'বোল্ডার' প্রজাতির গরু রাজ্যের বিভিন্ন হাটে থেকে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনে নিতে এনামুলের টিম।
আরও পড়ুন: কাঁধে করে মাকে নিয়ে শেষ যাত্রায় মোদি, শেষকৃত্য় একটু পরেই! রইল ভিডিও
এই বোল্ডার প্রজাতির গরু কেনার পরই বিশেষ স্ট্যাম্প এবং নম্বর সাঁটিয়ে দেওয়া হতো গরুর গায়ে। তারপর সেই গরু পাচারের জন্যে চলে যেত বিভিন্ন পয়েন্টে এবং সময় বুঝে পাচার হয়ে যেত বাংলাদেশে।
ওই বিশেষ স্ট্যাম্প এবং নম্বর দেখে কেউ গরু বোঝাই গাড়ি রাস্তায় আঁটকানোর সাহস দেখাতো না। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে এই বিশেষ প্রজাতির গরু বোল্ডার বেশি আসতো ইলামবাজারের গরু হাটে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই 'বোল্ডার' প্রজাতির গরুর গায়ের রং কার্যত হালকা লালচে আর এই গরুর পা লম্বা এবং বড় সিং ওয়ালা। জানা গিয়েছে যে এই বোল্ডার গরুর ওজন প্রায় ২ কুইন্টালের বেশি হয়।