এদিন ভোর হতে না হতেই শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব এলাকায় পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। গোটা এলাকাই ছেয়ে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীতে। তারপর দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু যে বাড়িতে থাকেন সেখানে পৌঁছয় ইডির টিম।
আরও পড়ুন– ঘরের নীচে চাপা পড়ে শত বছরের ইতিহাস! পুরনো বাড়ি কিনে কী কাণ্ড ঘটালেন দম্পতি
advertisement
এদিকে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও অভিযান ইডির ৷ নিজের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের উত্তর দমদম পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন সুবোধ। এমনটাই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ৷ ইডির তদন্তে এই তথ্যই উঠে এসেছে। তার ভিত্তিতেই সুবোধকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আজ, শুক্রবার তাঁর বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা ৷ বিরাটি খলিসাকোটা পল্লিতে পৌঁছে যায় ইডির টিম ৷
কিছুদিন আগেই রেশন দুর্নীতি মামলায় সাতসকালে সিঁথিতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে রাখে ব্যবসায়ী গোপাল বণিকের বাড়ি। অন্যদিকে, যাদবপুরের বিজয়গড়েও হানা দেয় ইডি। চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কল্যাণ সিংহ রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি।
গত ৫ জানুয়ারি সকালে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যান ইডি আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান। তাঁর দুটি নম্বরে ফোন করেন তদন্তকারীরা। একটি ব্যস্ত ছিল। অন্য নম্বরে আসা ফোন ধরেন শাহজাহান। ইডির তরফে তল্লাশির কথা বলা হয়। একথা শোনার পরমুহূর্তেই ফোন কেটে দেন তৃণমূল নেতা। তার পরই মারধর করা হয় ইডি আধিকারিকদের। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাড়িতে বসেই ইডি আধিকারিকদের উপর হামলায় ইন্ধন জুগিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। এই ঘটনার পর থেকেই ফেরার শেখ শাহজাহান ৷