ইডি হেফাজতে থাকা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও রয়েছেন সিজিও-তেই৷ কিন্তু লক আপের ভিতরে থাকুন বা বাইরে, পার্থ এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের উপরে সর্বক্ষণ নজরদারি চালাচ্ছে দু'টি ক্যামেরা৷
আরও পড়ুন: টাকা কার, কে ষড়যন্ত্র করল? ইডি-র পরের পর প্রশ্নের মুখেও অনড় পার্থ
ইডি সূত্রে খবর, হেফাজতে পাওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ ঘণ্টা জেরা করে ফেলেছেন ইডি কর্তারা৷ এখনও পর্যন্ত অর্পিতার থেকে প্রয়োজনীয় অনেক তথ্য পেলেও পার্থ সেভাবে সহযোগিতা করছেন না বলেই অভিযোগ তদন্তকারীদের৷
advertisement
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সাত দিনে দু' জনকে জিজ্ঞাসাবাদের গোটা প্রক্রিয়াটিরই ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে৷ পার্থ এবং অর্পিতা যখন লক আপের ভিতরে থাকছেন তখন তো বটেই, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যখন তাঁদের বাইরে আনা হচ্ছে সেই সময়ও দু' জনের যাবতীয় গতিবিধি ক্যামেরাবন্দি করা হচ্ছে৷ এমন কি, পার্থ- অর্পিতা কী খাচ্ছেন, ক্যামেরায় তোলা থাকছে তাও৷
আরও পড়ুন: গ্রেফতার হওয়া পার্থর নাম কেন ইতিহাসের বইতে, সরানোর দাবিতে সরব বিরোধীরা
ইডি কর্তারা বলছেন, তাঁদের উপরে কোনও রকমের মানসিক বা শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে দু' জনের কেউই এমন অভিযোগ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতেই এই পথ অবলম্বন করেছে ইডি৷
অর্পিতার তুলনায় প্রথম থেকেই বেশি সমস্যা এবং উদ্বেগে রয়েছেন ইডি কর্তারা৷ কারণ একে তিনি রাজ্যের প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রী, তার উপরে শারীরিক নানা সমস্যা রয়েছে পার্থর৷ হেফাজতে নেওয়ার পর পার্থ স্নান, খাওয়া-দাওয়া নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় ইডি-কে৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে স্নান করিয়ে দেওয়ার জন্য চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মীকে বরাদ্দ করতে হয়েছে৷ ব্যবস্থা করতে হয়েছে বড় বাথরুমের৷ ইডি-র দেওয়া পরীমিত আহারেও আপত্তি ছিল পার্থর৷ কয়েক দিন জেদাজেদি করার পর অবশ্য আপাতত তাই মুখ বুজে খেতে হচ্ছে তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবকে৷