নিয়ম ভেঙে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। যার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া, সুপারিশ পত্র দেখে নিয়োদকারীদের নির্দেশ দেওয়া।
আরও পড়ুনঃ ব্যস্ত রাস্তায় আচমকাই ভেঙে পড়ল গাছের ডাল! অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন পথচারীরা
advertisement
তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসেছে হোয়াটস অ্যাপ ও টেক্সট মেসেজ। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে গিয়ে মিলেছে তার ছেলের সংস্থার অ্যাকাউন্টে তোলা আদায়ের তথ্য। প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলো থেকে ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগগুলোর সাথে এবার যুক্ত হল টাকার বিনিময়ে শিক্ষক বদলি।
আরও পড়ুনঃ বছর ঘুরলেও খোলেনি ডেল্টা জুটমিল! অসহায়তার জীবন কাটাচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক
কীভাবে হত এই বদলি? ইডি সূত্রে খবর, তারা যে সমস্ত নথি পেয়েছে তাতে বদলি সংক্রান্ত সুপারিশ মিলেছে। যেখানে কয়েকজন শিক্ষকের নাম রয়েছে যাদের পছন্দের স্কুলে বা বাড়ির কাছে স্কুলে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে। এমনকি মেসেজেও এই বদলি নিয়ে টেক্সট চালাচালি করেছেন মালিক বলে দাবি ইডির। প্রথমে টাকার বিনিময়ে প্রান্তিক কোনও এলাকার স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়া ও পরে তাদের মধ্যে থেকেই অনেকে নিজেদের এলাকার নিকটে বদলির জন্য আবেদন করেছেন। সেই সকল শিক্ষকদের হয়ে সুপারিশ এসেছে মানিকের কাছে বলে দাবি ইডির। আর এই বদলি পিছু রফা হয়েছে ৬-৭ লক্ষ টাকা বলেও দাবি তদন্তকারীদের।
এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ৭ লক্ষ ছাড়িয়েছে এই অর্থের পরিমান। কিন্তু কার নির্দেশে হত এই বদলি? সুপারিশ বা কে করতেন? সবটাই এখন ইডির নজরে। শিক্ষক বদলি নিয়েও জেরার মুখে মানিক ভট্টাচার্য বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। তবে সংস্থা সূত্রে খবর, গত দু'দিন জেরার মুখে তেমন ভাবে কোনও উত্তর দেননি মানিক বলেও অভিযোগ ইডির।
Amit Sarkar