বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে করা এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়েছিলেন অভিষেক। সময়ের অভাবে এদিন সেই মামলার শুনানি সম্ভব হয়নি৷ আগামী সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ শুনানির সময় ধার্য করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি! নিয়োগের নয়া দুর্নীতিতে ‘মানিকের মানি ট্রেলে’র খোঁজে এবার ইডি
আদালতের তরফে এর আগে এই মামলায় রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু, গত সোমবার সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হয়৷ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই মামলা ছেড়ে দেওয়ায় পিছিয়ে যায় শুনানি। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলাটি ফের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠান।
advertisement
আজ, বুধবার ফের বিচারপতি ঘোষের এজলাসে মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানান অভিষেকের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। উত্তরে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, সোমবারের আগে মামলার শুনানি সম্ভব নয়।
এরপরেই ইডির আইনজীবী এস বি রাজু আদালতে আশ্বাস দেন, আগামী সোমবার পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হবে না।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় নাম জড়ানোর পরে সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেককে। পরে ইডি তলব করলেও, হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েও রক্ষাকবচ পাননি অভিষেক। মামলা ফেরানো হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সেই মমলা সরে আসে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে৷
পরে অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই এফআইআর খারিজ করার আর্জি জানিয়ে বিচারপতি ঘোষের বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। মিলেছিল রক্ষাকবচও৷
এরপরেই বিচারপতি ঘোষের এজলাসে কেন এই মামলা উঠল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইডি৷ তাদের বক্তব্য ছিল, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে হওয়ার কথা। এরপরই মামলা সরে দাঁড়ানোর কথা জানান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
তারপরে, কোন এজলাসে এই মামলা যাবে, তা ঠিক করার কথা ছিল বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের৷ মঙ্গলবার তিনি ফের সেই মামলা বিচারপতি ঘোষের এজলাসে পাঠিয়ে দেন৷ সেই মামলারই শুনানি ছিল আজ৷