অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো নোটিশ সম্পর্কে অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে লড়াই করার জন্যেই বারবার ডেকে পাঠানো হচ্ছে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ডেকে পাঠানো আর নতুন কী? এজেন্সি তথ্য প্রমাণ পেলে ডেকে পাঠায়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুনঃ বিড়াল দেখলেই দূর-দূর করেন? অজান্তেই রোজ বড় বিপদ ডাকছেন! কারণ জেনে উপায় খুঁজুন আজই
advertisement
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “এর আগে নিট ফল ছিল ০। এখন আরও দু’নম্বর কমে হয়েছে -২, অর্থাৎ নিট ফল -২।” গত ২০ মে সিবিআই যে দিন অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল, সে দিন প্রায় ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদকে। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা সূত্রে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঠিক ৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর ইডির দফতর থেকে বেরোন অভিষেক।
আরও পড়ুনঃ বিরল নক্ষত্রযোগ! ধনতেরাস, কালীপুজোয় আমূল বদলাবে ৪ রাশির ভাগ্য? হাত দিলেই হবে সোনা
অভিষেক বলেছিলেন, “আমাকে টানা ৪ দিন জেরা করলেও মেরুদণ্ড বিক্রি হবে না। কারণ আমরা বশ্যতা স্বীকার করতে জানি না। তবে ইডিকে আমি দোষ দিই না। ওঁরা কর্মী মাত্র। নির্দেশ পালন করাই ওঁদের কাজ।” এমনকি অভিষেক বলেছিলেন, “জটায়ু তাঁর বন্ধু ফেলুদাকে প্রশ্ন করেছিল, একই জিনিস আমরা একভাবে দেখছি , আর আপনি অন্য ভাবে দেখছেন, সেটা কী করে হয়? জবাবে ফেলুদা বলেছিলেন, আপনার আর আমার মধ্যে তফাত শুধু দৃষ্টিভঙ্গির। আপনারা আগে অপরাধী ঠিক করে নেন, পরে অপরাধ খোঁজেন। কিন্তু আমি আগে অপরাধ খুঁজি তারপর অপরাধীকে চিহ্নিত করি। ইডিও এখানে জটায়ুর মতোই আগে অপরাধী ঠিক করে নিচ্ছে, অপরাধ খুঁজছে না। হয়তো তাই তারা অপরাধের গভীরে পৌঁছতে পারছে না।”
ইডির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক বলেছিলেন, নারদা কেলেঙ্কারিতে এফআইআরে অভিযুক্ত শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হয়নি। উল্টে বিজেপি তাঁকে দলে নিয়েছে। সাড়ে ন’বছরে নারদার তদন্ত এগোয়নি। আর এই মামলায় ঠিক ভোটের সময় বা আমার কোনও রাজনৈতিক কাজ থাকলে তখনই ডাকা হয়। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে ওরা আগেও বহুবার প্রশ্ন করেছে। দু’বছর আগেও আমার কাছে এই একই প্রশ্ন এসেছিল। তখন কয়লা এবং গরু কেলেঙ্কারিতে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এখন এই মামলায় জানতে চাওয়া হচ্ছে। সব দুর্নীতির টাকা লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসে ঢুকেছে? একটি সন্তানকে কতজন মা গর্ভে ধারণ করবে? আসলে আমি যেহেতু সিইও তাই ইডির দায়িত্ব এটা প্রমাণ করা যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র আমার বার্তা নিয়ে যেত।”
ABIR GHOSHAL