অমিত ঘোষ, সচিব, ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়ন জানিয়েছেন, ‘‘৬০ বছরের পর কর্মক্ষমতা কমে যায়। তাদের দিয়ে যদি এত যাত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে ট্রেন চালানো হয় তা হলে সুরক্ষার সঙ্গে আপোস করা হবে। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়বে। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছি। ভারতীয় রেলে চিফ লোকো ইন্সপেক্টর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, লোকোমোটিভের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিয়মিত পরিদর্শন ইঞ্জিন, ব্রেক সিস্টেম-সহ একাধিক যান্ত্রিক পরীক্ষা করালোকোমোটিভ চালকদের প্রশিক্ষণ ও তাঁদের কাজের গুণমান পর্যবেক্ষণরেলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়মাবলির তদারকি, নয়া প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা বিভাগীয় কর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করা ৷ এক কথায় রেল পরিষেবায় প্রত্যক্ষভাবে গুরুদায়িত্ব পালন করেন চিফ লোকো ইন্সপেক্টর।’’
advertisement
সেই পদেই অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে প্রশ্নের মুখে পূর্ব রেল। দীপ্তিময় দত্ত, মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক, পূর্ব রেল জানিয়েছেন, !!বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্তদের কাজের ট্র্যাক রেকর্ড দেখে ইন্টারভিউ দেখে নেওয়া হয়। দেশে যোগাযোগের লাইফলাইন। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। সেখানেই নিয়োগে অবহেলার অভিযোগ রেল ইউনিয়নের! রেলে শূন্যপদ-ক্ষোভ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই।’’
অমিত ঘোষ, সচিব, ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়ন জানিয়েছেন, মোটর ম্যান-ড্রাইভারের প্রচুর শূন্যপদ রয়েছে। ড্রাইভার-গার্ডদের চাপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। প্রচুর শূন্যপদ। কিন্তু নিয়োগে ঢিলেমি করা হচ্ছে। রেলের দাবি, অভিজ্ঞতাকে মাপকাঠি করেই অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ। যদিও, রেল ইউনিয়নের নেতাদের অভিযোগ, নিয়োগ না হওয়ায় মেট্রো রেলকে সামাল দিতে পূর্ব রেল থেকে চালকদের টানা হচ্ছে। ফলে, যাঁরা সরাসরি পদোন্নতি পেয়ে চিফ লোকো ইন্সপেক্টর হতে পারতেন, তাঁদের পুরনো কাজই করতে হচ্ছে। তাই কি অবসরপ্রাপ্তদের দিয়েই ফাঁক পুরনের চেষ্টা?