আগামী ৩ নভেম্বর সংগঠনের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন কোচবিহার থেকে শুরু হচ্ছে ইনসাফ যাত্রা। কাজ এবং শিক্ষা-সহ সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের সমস্যাকে সামনে রেখে এই ইনসাফ যাত্রা। দু’মাস গোটা রাজ্য ঘুরে ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে এই কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। চলছে বৈঠকি সভা থেকে ছোট বড় কর্মী সভা। “লুঠের টাকায় নয়। ইনসাফ যাত্রা এবং ৭ জানুয়ারির ব্রিগেড হবে মানুষের দেওয়া অর্থের সাহায্যে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ‘ছেলের জ্বর চলে এসেছে, ৭৭ ঘণ্টা ধরে ট্রেনে আটকে’, রেল দুর্ঘটনার ভয়ানক অভিজ্ঞতা বাঙালি পরিবারের
মঙ্গলবার ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য দফতর দীনেশ মজুমদার ভবনে সংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যে যেই চার হাজার ইউনিট রয়েছে তাদের পক্ষ থেকে এলাকার বাড়ি একটি কৌটো দিয়ে আসা হবে। একমাস পর তা আবার ফেরত নেওয়া হবে। যুব নেতৃত্বের কথায়, মানুষের জন্য লড়াই হবে মানুষের দেওয়া রসদের ওপর ভিত্তি করেই।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন থেকে শুরু হবে ইনসাফ যাত্রা। আর সেখানেই চালানো হবে প্রচার। কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করা হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে যার থেকে রাজনৈতিক ফসল তুলতে চাইবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। মঙ্গলবার তারই ইঙ্গিত দিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
নেতৃত্বের কথায় যৌবনের স্পর্ধাকে কোনওভাবেই আটকে রাখা যাবে না। শারদোৎসবের সময় আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দ। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে চাকরি প্রার্থীরা থাকবেন কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে মীনাক্ষী বলেন, ‘‘শুধু চাকরি প্রার্থীরা নন, ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরাও থাকবেন আমাদের সমাবেশে। সমাজের সব অংশের মানুষকে আমরা বলছি ব্রিগেড সমাবেশে আসার জন্য।’’
তৃণমূল এবং বিজেপিকে আক্রমণ করে যুব নেতৃত্ব বলে, ‘‘তৃণমূল গোটা রাজ্য থেকে লুঠ করছে। ভুয়ো চালকল, কোম্পানি বানিয়ে টাকা লুঠ করছে। আর অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন আইন শিথিল করে আদানি আম্বানিদের সাহায্য করছে নিজেদের সম্পত্তি বাড়াতে।’’ রাজ্যে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সেই প্রসঙ্গ টেনে মীনাক্ষী বলেন, ‘‘একটা কোনও দফতরেও স্থায়ী নিয়োগ হয়নি এই সরকারের আমলে। সব জায়গায় চুক্তি ভিত্তিক কর্মী দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। ডিওয়াইএফআই ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের বর্তমান সময় পর্যন্ত একাধিক আরটিআই করেছে। সরকার তার কোনও উত্তর দেয়নি। আইনি অজুহাত দেখিয়ে তারা এড়িয়ে গিয়েছে। ইনসাফ যাত্রা এর উত্তর চাইবে।’’