সেই গাইডলাইনে ই বলা হয়েছে ওই পদযাত্রায় লক্ষ্মীর ভান্ডারের মহিলারা সংখ্যায় ৫০০ থেকে ৭৫০ জন পর্যন্ত অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে শুধু লক্ষ্মীর ভান্ডারের মহিলারাই নয়, জেলার বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীরাও ওই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। নবান্ন সূত্রে খবর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে জেলাগুলিতে কোথায় এই পদযাত্রা হবে তা ওই জেলার প্রশাসন ও পুজো কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই স্থির করে করতে বলা হয়েছে।জেলার প্রতিটি দুর্গাপূজা কমিটি ও পার্শ্ববর্তী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পুজো কমিটিগুলিকে নিয়েই এই পদযাত্রা করতে হবে। পুজো কমিটি গুলি তাদের সদস্যদের নিয়ে নানান ধরনের সংস্কৃতি অনুষ্ঠান করতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় ফের মলয় ঘটককে তলব, ১৪ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র
তবে মেয়েদের শঙ্খ নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নিতে হবে। প্রতিটি পুজো কমিটির কাছেই তাদের ব্যানারসহ পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। পদযাত্রায় ওই জেলার সর্বাধিক ১০০ জন লোক প্রশার শিল্পী কে নেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা এই পদযাত্রায় জেলার স্কুলগুলি থেকে অংশগ্রহণ করতে পারেন তবে তারা তাদের বিদ্যালয় পোশাক পড়েই এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন। তবে যারা পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন তাদেরকে রঙিন ছাতায় ব্যবহার করতে হবে। কোন রকম কালো ছাতা ব্যবহার করা যাবে না। নির্দেশিকা এও বলা হয়েছে পদযাত্রার জন্য একটি করে থিম সং তৈরি করা হচ্ছে যা যথাসময়ে জেলাগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি পথযাত্রায় যথাযথ ব্র্যান্ডিং করতে হবে এবং তার জন্য হোর্ডিং, লোগোর যথাযথ প্রচার করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
আরও পড়ুন: নেতাদের জন্য নয়, তৃণমূলের কর্মীদের জন্য আমাদের দরজা খোলা! বললেন সুকান্ত মজুমদার
বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি নিয়ে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রত্যেকটি জেলাকে নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে কলকাতা পাশাপাশি জেলাগুলিতেও যে একই দিনে একই সময় পদযাত্রার আয়োজন হবে, সেই বিষয়ে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই পদযাত্রাকে কেমন ভাবে সাজিয়ে তুলতে হবে সে নিয়েই ১৭ দফা গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।