ঘটনাচক্রে এ বছর তাঁদেরও দুর্গোৎসবেরও সুবর্ণ জয়ন্তী৷ অর্থাৎ তাঁরাও দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন ১৯৭৪ সালেই৷ সে বছরই ২৭ ডিসেম্বর বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল আইকনিক ছবি ‘সোনার কেল্লা’৷ তাই বাঙালির এক এবং অদ্বিতীয় প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরের সঙ্গে নিজেদের পুজোর ৫০ পূর্তি উদযাপনও মিশিয়ে দিতে চান উদ্যোক্তারা৷ পাশাপাশি স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়ের প্রতি তাঁদের কুর্নিশ নিবেদনও বটে৷ মণ্ডপসজ্জায় উঠে এসেছে ‘সোনার কেল্লা’ এবং ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছবির নানা অনুষঙ্গ৷ সেখানে থাকছে মগনলাল মেঘরাজ, মছলিবাবা থেকে শুরু করে মন্দার বোস এবং নকল ডক্টর হাজরা৷
advertisement
আরও পড়ুন : ‘ফেলুদাকে চিনি না, আমি ব্যোমকেশ পড়ি, স্বপনকুমার আমার খুব ভাল লাগে!’ ৫০ বছর আগে সত্যজিৎকে বলেছিলেন হবু তোপসে
আরও পড়ুন : জন্মের আগেই হারান বাবাকে, ছিলেন ওয়েটার, ১৪ বছর ধরে চা-নোনতা বিক্রি করা জনপ্রিয় অভিনেতা আজ ধনকুবের
এই মণ্ডপে ভাবনা এবং সৃজনশীলতাকে রূপায়িত করেছেন দুই শিল্পী-রত্নদীপ প্রামাণিক এবং সৌমেন সরকার। তাঁদের হাতের ছোঁয়ায় মণ্ডপেই ফুটে উঠেছে জয়সলমেরের সোনার কেল্লা, বেনারসে গঙ্গাঘাটের পাশাপাশি ঘোষাল পরিবারের ঠাকুরদালান৷ উদ্যোক্তাদের কথায়, ‘‘আমাদের এই ভাবনা খালি বুদ্ধিমত্তা, মেধা উদযাপনই নয়৷ শিল্পীদের ভাবনায় বাংলা তথা ভারতবর্ষের সংস্কৃতি এবং শিল্পকেও, বাঙালির রসবোধকে উদযাপনের প্রয়াস করা হয়েছে। সবাই দিনের শেষে স্বীকৃতি চায়, আমাদের শিল্পীরা এবং আমরা পুজো উদ্যোক্তারাও তার ব্যাতিক্রম নই। দিনের শেষে একটাই চাহিদা দর্শনার্থীদের কাছে৷ সেটা হল আমাদের ভাবনা এবং কাজের স্বীকৃতি লাভ। এই আশা নিয়েই ‘বিজয় ৫০’, ‘জয় ৫০’।’’