পরিবহণ দফতরের কর্তাদের কথায়, এটা সর্বকালীন রেকর্ড। এটা সম্ভব হয়েছে দামী ডিজেলকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে দিনের বিভিন্ন সময় যাত্রী চাহিদা মতো পরিষেবার জোগানের ব্যবস্থা করে।পরিবহণ দফতরের হিসেব বলছে, শুধু লঞ্চ পরিষেবাই নয়, পুজোর প্রত্যেক দিন ৭৭৭ টি বাস পথে নেমেছে। যা থেকে পুজোয় ব্যবসা হয়েছে, ২ কোটি ৩৫ লক্ষ ২৮ হাজার টাকারও বেশি। প্রতিদিন নিয়ম করে রাত ৯ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১১টি রুটে ৩০ টি বাস চালোনা সম্ভব হয়েছে। টিকিট বিকিয়েছে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার।
advertisement
এছাড়াও এবার কলকাতা ও শহরতলি এবং কামারপুকুরকে কেন্দ্র করে পুজো পরিক্রমায় পাঁচটি প্যাকেজ রেখেছিল। তা থেকে ১৪ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকার ব্যবসা হয়েছে। পরিবহণ মন্ত্রীর কথায়, এই উদ্যোগের ফলে আগামী দিনে আরও বেশি করে সরকারি বাস পথে নামানোর প্রচেষ্টা চালানো হবে। পরিবহন দফতরের আধিকারিকদের কথায় সরকারের নীতি অনুযায়ী ভাড়া না বাড়িয়েই যা সম্ভব হয়েছে।
লকডাউনের পর বাস চালিয়ে দৈনিক ১৪ লক্ষ টাকা আয় করা যাচ্ছিল না। পুজোর কিছুটা আগে থেকেই ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই ধাপে ধাপে বিভিন্ন রুটে বাস বাড়িয়ে অনেক বেশি টাকার ব্যবসা করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য কলকাতার তিনটি প্রধান বাণিজ্যিক এলাকাকে কেন্দ্র করে চালানো হয়েছে শপিং স্পেশাল। অন্যান্য বছরের মতো পুজো পরিক্রমার আয়োজন করা হয়েছিল।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়