প্রত্যকটি পর্যটন কেন্দ্রেই অন্তত আট থেকে দশটি কিয়ক্সের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। যেখানে তন্তুজ,মঞ্জুষা,স্বনির্ভর গোষ্ঠী তাদের করুশিল্প, হস্তশিল্প, হ্যান্ডলুম, বাংলার তাঁতকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে পারে। বিক্রি করা হয় পর্যটন কেন্দ্র গুলির ছবি আকারে টি-শার্ট সহ নানা স্মরনিকা।
advertisement
রাজ্য সরকারের বক্তব্য,ওড়িশা, গোয়া, কেরল সহ বহু রাজ্য রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে নানা স্মরণিকা বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। যা পশ্চিমবঙ্গের কোনও পর্যটন কেন্দ্রে সচরাচার দেখা যায় না। অথচ এই স্মারণিকা নিয়ে ভালো ব্যবসা হতে পারে। তাই এবার পঞ্চায়েতের হাতে থাকা আনন্দধারার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে এই কাজে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - Surya Gochar: সূর্যের গোচরে ১৫ দিনে ভোলবদল, তিন রাশির জাতক-জাতিকার কপাল খুলবে
রাজ্য্য সরকারের বক্তব্য, চিরাচরিত পর্যটন কেন্দ্রগুলি ছাড়াও বহু জায়গায় লোকশিল্পকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। বিদেশি পর্যটকরাও সেখানে যাচ্ছেন। মূলত কিছু সংস্থার উদ্যোগে এই কেন্দ্রগুলি আত্মপ্রকাশ করেছে। জেলাশাসকদের এই সব কেন্দ্রে পর্যটকদের পরিষেবার উপযুক্ত ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। এ ব্যাপারে স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও হোমস্টের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন - Hair Care Tips: ‘‘মাথার ঘন চুল যখন মরুভূমি...’’ রান্নাঘরের চাল ধোয়া জল করবে কামাল
রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ১৭০৪ টি হোমস্টেকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যা পর্যটন কেন্দ্রিক কর্মসংস্থানের নয়া দিক নির্দেশ করেছে। এতদিন সারা দেশের মধ্যে সর্বাধিক হোমস্টে ছিল মহারাষ্ট্রে। এখন পশ্চিমবঙ্গ তাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। জেলাশাসকদের নবান্নর পরমার্শ এই হোমস্টেতে যেন উপযুক্ত পরিষেবা ও নিরাপত্তা থাকে। রাজ্য সরকার এজন্য তাদের দেড়লক্ষ টাকা করে অনুদান দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনিক মহলের একাংশ মনে করছে পুজোর আগেই পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনাই হতে চলেছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে এই ধরনের স্টল বা কিয়স্ক।
SOMRAJ BANDOPADHYAY
