TRENDING:

পুজোর ঢাকে কাঠি, আজ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে রাজ্য সরকার

Last Updated:

জেনে নিন, করোনা পরিস্থিতিতে কেমন ছিল পুজো পালনের নিয়ম কানুন...৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আবীর ঘোষাল, কলকাতা: গত দু'বছরের করোনা পরিস্থিতি পেরিয়ে এসেছে রাজ্য ৷ ফলে চলতি বছরের দুর্গাপুজো ঘিরে উৎসাহ অনেকটাই বেশি পুজো কর্তাদের। এমনই পরিস্থিতির মধ্যে আজ, সোমবার পুজো নিয়ে বৈঠক ডেকেছে রাজ্য সরকার। বৈঠক করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরের পুজো পালনে একাধিক নিয়ম বদলে যাবেই বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দেখে নেওয়া যাক, গত দু'বছর কী পরিস্থিতিতে পুজো পালন করা হয়েছিল।
পুজোর ঢাকে কাঠি, আজ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে রাজ্য সরকার
পুজোর ঢাকে কাঠি, আজ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে রাজ্য সরকার
advertisement

করোনা পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, প্যান্ডেল ও প্রতিমার উচ্চতা খুব বেশি না করাই ভাল, কারণ উদ্যোক্তাদের চেষ্টা করতে হবে রাজ্য সরকার বা পুরসভা কে অনুরোধ করে তাঁদের সাহায্যে প্রতিদিন অন্ততঃ একবার পুরো প্যান্ডেল ও প্রতিমা স্যানিটাইজ করার । সেক্ষেত্রে উচ্চতা বেশি হলে স্যানিটাইজ করতে সমস্যা হবে শিল্পীদের ও কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছিল তাঁরা এমন একটি মণ্ডপ তৈরি করুন যাতে দর্শক বাইরে থেকেই ভালভাবে প্রতিমা দর্শন করতে পারেন মণ্ডপে না ঢুকেই ৷ অর্থাৎ প্যান্ডেলের ভেতরের কাজ যথাসম্ভব কম করে বাইরের দিকে কাজের চাকচিক্য বেশি করলে দর্শক সেইদিকেই বেশি দৃষ্টি দেবেন ভিতরে না ঢুকে ৷

advertisement

আরও পড়ুন- রাশিফল ২২ অগাস্ট; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন

প্যান্ডেলের প্রবেশ পথ ব্যারিকেড দিয়ে যতটা সম্ভব দীর্ঘ করতে হবে, তাতে প্রতিটি মানুষকে অনেকটা পথ অতিক্রম করতে হবে, এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং বাড়বে। ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবকদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে প্রতিটা দর্শক যাতে মাস্ক পরে ঢোকেন ও প্রবেশ করার সময় তাঁদের হাতে স্যানিটাইজার দেওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে । মূল প্রবেশ পথে একাধিক থার্মাল গান রাখতে হবে। জ্বর নিয়ে কোন ব্যক্তিকে প্যান্ডেলে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। মূল প্রবেশ পথে ও প্যান্ডেলের ভিতর দায়িত্বরত প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবকের সঠিক ভাবে নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করতে হবে। যাতে তারা কোনওভাবেই সংক্রমিত না হয়ে পড়ে।  প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দফায় দফার লোক ঢোকাতে হবে একসঙ্গে বহু লোক প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।

advertisement

এক বারে ২৫ জনের বেশি লোক প্যান্ডেলে প্রবেশ করানো যাবে না। ফোরামের পক্ষ থেকেও পুজোর আগে থেকে প্রচার করা হবে যাতে দর্শক সারাদিন ধরে ঠাকুর দেখে। শুধু রাত্রের কয়েক ঘণ্টা ঠাকুর দেখার জন্যে বেছে না নেয়।  প্রয়োজনে আলোর চাকচিক্য একটু কম করতে হবে যাতে দর্শকরা ওই আলোর চমক দেখার জন্যে শুধুমাত্র রাতে ভিড় না করেন । যাদের পক্ষে সম্ভব, তাঁরা ট্যাংকার এনে স্যানিটাইজার স্প্রে করতে পারেন দর্শকদের লাইনের ওপর সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর দিনগুলোতে ।

advertisement

আরও পড়ুন- আসছে মাধবীলতা, অ্যাকশন-রোম্যান্সে ভরা এই ধারাবাহিক চমক দিতে তৈরি

যে সব পুজোয় স্টল হয় সেখানে ফাঁক দিয়ে দিয়ে জায়গা ছেড়ে স্টল বানাতে হবে যাতে দুটি স্টলের মধ্যে ৩-৪ ফুট ফাঁক থাকে। স্টলের লোকেদের রেডিমেড খাবার বিক্রির জন্য জোর দিতে হবে যাতে স্টলে লোক বসিয়ে না খাওয়ানো হয়।  ঠাকুরের ভোগ নিবেদনে গোটা ফল দিতে হবে।  পুষ্পাঞ্জলি, সন্ধি পুজো, সিঁদুর খেলার সময় সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে চলতে হবে। ওই সময়েও একসঙ্গে বেশি মানুষকে প্যান্ডেলে ঢোকানো যাবে না। প্যান্ডেল করার সময় বা লাইট লাগাবার সময় লেবারদের স্বাস্থ্য সঠিক রাখার দায়িত্ব পুজো কমিটিকেই নিতে হবে। তার জন্য থার্মাল চেকিং থেকে বিভিন্ন প্রতিষেধক পুজো কমিটিকে নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনকে কুমোরটুলিকে সঠিক ভাবে স্যানিটাইজ করার জন্য অনুরোধ করতে হবে। ঠাকুর আনার সময় এক সঙ্গে বেশি কর্মকর্তা কুমারটুলিতে না যাওয়াই উচিৎ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

করোনা পরিস্থিতিতে একাধিক নিয়ম ছিল। পুজো উদ্যোক্তরা মনে করছেন এই সব নিয়মের একাধিক বদল আসবে।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
পুজোর ঢাকে কাঠি, আজ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে রাজ্য সরকার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল