কথিত আছে রাবণের সাধের লঙ্কা আসলে ছিল মায়াপুরী। দেবী দুর্গা মহামায়া রূপে বিরাজ করতেন সেখানে। তাঁর বরে লঙ্কাপুরী ছিল বিভ্রম নগরী আর রাবণ ছিল অপরাজেয়। রামচন্দ্র দেবীর অকালবোধন করে মায়াজাল বা বিভ্রম কাটাতে পেরেছিলেন লঙ্কাপুরীর। পৃথিবী আজ ও বিভ্রান্ত। আমরা মোহমায়ায় ঘুরছি। এই মায়ার মায়াজাল নিয়েই কেষ্টপুর মাস্টারদা স্মৃতি সংঘের এবারের থিম "বিভ্রম"। মণ্ডপসজ্জার জন্য শিল্পী বেছে নিয়েছেন একেবারে উত্তরাধুনিক একটি পাশ্চাত্য আর্ট ফর্ম। যার নাম অপ-আর্ট। অপটিক্যাল ইলিউশন চোখে দেখা বস্তুর মধ্যে দৃষ্টির ধাঁধা তৈরি করাই এই আর্ট ফর্ম এর বৈশিষ্ট্য।
advertisement
আরও পড়ুন: সাড়ে ৩০০ বছরের রীতি মেনে দুর্গাপুজো, শিবপুরের পাল বাড়িতে ১৫ দিন ধরে চলে চণ্ডীপাঠ!
পুজোর কটা দিন শিল্পীর শিল্পকলা দেখতে যারা মণ্ডপে আসবেন কোভিড বিধি মেনে তাদের সুরক্ষার দায়িত্ব নেবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এক ঝাঁক তরুণ আর্ট কলেজের ছাত্রদের নিয়ে মানস রায় তৈরি করছেন এই মায়ার জগত। এবারের পুজোয় একবার ঢুঁ দিতে ভুলবেন না।
বিশ্বজিৎ সাহা