১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar)। ঠিক একমাস ধরে চলবে এই কর্মসূচি। অর্থাৎ ১৫ মার্চ অবধি দুয়ারে সরকার চলবে। মঙ্গলবারই এ সংক্রান্ত প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘পাড়ায় সমাধান’-এর দিনক্ষণও ঘোষণা করা হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে পাড়ায় সমাধান। চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন : বাংলায় নিম্মমুখী করোনা-গ্রাফ, কমছে সংক্রমণের হার, চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যু!
advertisement
২০২০ সালে শুরু হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar)। এই কর্মসূচি ঘিরে মানুষের উন্মাদনা চরমে দেখা গিয়েছে গতবারের শিবিরে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ঘোষণার পর দুয়ারে সরকারে শুধু লক্ষাধিক মহিলারই ভিড় দেখেছে বাংলা। এছাড়াও অন্যান্য প্রকল্পের জন্যও লাইনে দাঁড়িয়েছেন মানুষ। সেই দুয়ারে সরকারেরই আওতাধীন পাড়ায় সমাধান প্রকল্প।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে রাজ্য সরকারের পাড়ায় সমাধান (Paray Samadhan) কর্মসূচি। যেখানে স্থানীয় সমস্যার সমাধান করা হবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বাসিন্দাদের আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। ১৬ তারিখ থেকে সেই সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ করা হবে। ১ মার্চ থেকে সেই সমাধান পৌঁছে যাবে বাসিন্দাদের কাছে।
আরও পড়ুন : পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করছেন, বিবৃতি দিয়ে জানালেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে পাড়ায় পাড়ায় সেই ক্যাম্প বসছে আবার। বিজ্ঞপ্তি বলছে, ১৫ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম দফার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। পরে আবার ১ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত গৃহীত হবে আবেদনপত্র। ৮ তারিখ থেকে সেই সমস্ত অভিযোগ, সমস্যার সমাধান করা হবে। যদিও ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই পরিষেবা শুরু হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত তা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে।
আরও পড়ুন : স্নিফার ডগ নিয়ে চলছিল তল্লাশি... আচমকা বাস থেকে যা পাওয়া গেল চোখ কপালে পুলিশের!
প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের দিক থেকে ফের বাড়ছিল করোনা (Coronavirus Bengal) সংক্রমণ। দাপট দেখাচ্ছিল ওমিক্রন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি হয়। তাই পিছিয়ে দিতে হয় দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) প্রকল্পও। ইতিমধ্যেই ২ দফায় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে কাজ হয়ে গিয়েছে। প্রচুর মানুষ সেখানে গিয়ে উপকার পেয়েছেন। তাই এই প্রকল্প ফের চালু করতে তৎপর রাজ্য সরকার।