দোলের আগে বিধান সরণির ভাঙের দোকানে ভিড়। গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখে ভাং, দাবি ক্রেতাদের অনেকের। অনেকে আবার ঠান্ডাই বা অন্য পানীয়তেই খুশি।
দোলের সঙ্গে রং আর নেশা অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে। প্রেমের নেশা আর ভাঙের নেশা ছাড়া তো দোল জমে না। নানান বিলিতি নেশা যতই বাজার ছেয়ে ফেলুক না কেন, দোলের দিন ভাঙের মতো করে বাঙালি আর কাউকেই কোনওদিন পাত্তা দেয়নি।
advertisement
শুক্রবার সকাল থেকে হাতিবাগান হোক বা হেদুয়া… সর্বত্রই ভিড় ভাংয়ের দোকানে। অনেকে অবশ্য সেটাকে এড়িয়ে চলছেন। কিন্তু ঠান্ডাইয়ের চাহিদা মাত্রাছাড়া। শিব আশ্রমের কর্ণধার বলছেন, ” আজ অন্তত ১০০০ লিটার বিক্রি হবেই ৷/” কথা বলতে বলতেই অহরহ বেজে চলেছে তার পকেটে থাকা মোবাইল ফোন৷ কেউ আবদার করছেন হোম ডেলিভারি হবে কিনা জানতে। কেউ আবার আবদার করছেন গ্লাস পিছু ১০’টাকা করে কম হবে কিনা জানতে। ভিড়ের ছোঁয়াচ আছে বড়বাজারেও। সত্যনারায়ণ পার্কের দোকানে মিলছে নানা স্বাদের ঠান্ডাই। স্পেশাল চাহিদার ভাঙের শরবত আছে তো বটেই।
যে-সব স্বাদের শরবত বেশি বিক্রি হল, তার মধ্যে আছে কেশর মালাই, কেশর পেস্তা, ম্যাঙ্গো ফ্লেভার। এছাড়া কেশর ঠান্ডাইয়ের চাহিদা তুঙ্গে। হ্যাপি হোলির সাথে সাথে ঠান্ডাইয়ের গ্লাসে গলা ভেজানো চলছে জোর কদমেই।