যার জেরে খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল চিকিৎসক মহল। রাজ্যের এক বড় অংশের শিশুদের রুটিন টিকাকরণ বাধাপ্রাপ্ত হায়েছিল নভেল করোনা ভাইরাসের দাপটের কারণে। বহু শিশুকেই তাদের পরিবার সেই সময় সরকারি হাসপাতাল,প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়নি। এমনকি অভিযোগ টিকাকরণ কর্মসূচিও অনেক জায়গায় সংগঠিত হয়নি।
মূলত শহরাঞ্চলের শিশুরা অনেকটাই বঞ্চিত হয়েছিল এই রুটিন টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে। এই পরিস্থিতিতে টিকা সময়মতো না পাওয়ায় অনেক শিশুর ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কিত ছিল চিকিৎসকরা।
advertisement
আরও পড়ুন : রাজধানীতে ক্রিকেটের ঈশ্বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ, স্বপ্নের মুহূর্তে অভিভূত গ্রাম বাংলার গোলাপি, কৃষাণরা
তবে সেই টিকা না নেওয়ার রেশ এখনও রয়ে গেছে। করোনা অস্তমিত হওয়ার পরেও রাজ্যের সর্বত্রই শিশুদের টিকাকরণে মারাত্মক ঘাটতি নজরে আসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। চিকিৎসক মহল আশঙ্কা প্রকাশ করে, দ্রুত এই ঘাটতি পূরণ না করলে এই শিশুদের ভবিষ্যৎ মারাত্মক।
শিশুদের টিকাকরণের ঘাটতি মেটাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম রাজ্যের সমস্ত জেলা শাসককে চিঠি দিলেন। যেখানে বলা হয়েছে, জন্মের পরই শিশুদের হেপাটাইটিস বি টিকাকরণে আরও গতি আনতে হবে। হাম এবং রুবেলা ভাইরাসের এম আর ওয়ান এবং এম আর টু টিকা যাতে কোনও ভাবেই শিশুদের বাদ না যায় তা অবশ্যই দেখতে হবে। ডিপথেরিয়া, টিটেনাসের টিকা সমস্ত শিশুকে দিতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে।
আরও পড়ুন : প্রেমিক নূপুরের বাগদত্তা ইরা, মেয়ের এনগেজমেন্ট উপলক্ষে জমকালো পার্টি আমির খানের
শহরাঞ্চলে ডিপিটি বুস্টার ডোজের টিকার অনেকটাই ঘাটতি রয়েছে, পাঁচ বছর বয়সি শিশুদের এই টিকা দেওয়ার সংখ্যা অবিলম্বে পূরণ করতে হবে।পেন্টাভ্যালেনট টিকাও সব শিশুকে অবশ্যই দিতে হবে। ১০০ শতাংশ শিশুই যাতে সমস্ত টিকা পায় তা অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্যের সব জেলাশাসকের উদ্দেশে জানানো হয়েছে,অবিলম্বে শিশুদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনরকম ঘাটতি বরদাস্ত করা হবে না। জেলায় জেলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করে শিশুদের এই রুটিন টিকাকরণ কর্মসূচি সফল করতে হবে।