সেই মানসিক রোগীর সংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে তাতে তৈরি হয়েছে ভয়। রোগীদের মনে কথা শুনতে শুনতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন বহু চিকিৎসকও। রোগীকে সঠিক পথ দেখালেও তাঁরা বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ! ১ লা জুলাই চিকিৎসক দিবসে এক আলোচনায় এমন কথা উঠে এল।
আরও পড়ুন- প্রচারের শেষ দিন বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের! বহিষ্কার ৯৬ জন নেতা
advertisement
চিকিৎসক দিবসে শহরে আয়োজিত সর্বভারতীয় চিকিৎসক সম্মেলন ‘হোপকন’-এ ‘মেডিক্যাল বার্ন আউট সিনড্রম’ শীর্ষক আলোচনায় এই কথা বলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ও উপাধ্যক্ষ চিকিৎসক অঞ্জন অধিকারী।
আলোচনায় উপস্থিত বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণাংশ তালুকদার বলেন, শুধু কাজের চাপই নয়, সমাজ, সংসার, রোজগারের চিন্তা, ভবিষ্যৎ, সবমিলিয়ে এই চাপ কাজ করছে। এখনই এ নিয়ে সমাধানসূত্র না বের করতে পারলে বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে পারে।
অঞ্জন বাবু বলেন, আমার কলেজেই দেখছি, বহু ছাত্রছাত্রী, বিভিন্ন বিভাগীয় শিক্ষক শিক্ষিকা তুমুল মানসিক চাপের জন্য কাজ করায় আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। ডাক্তারি করতে ভাল লাগছে না তাঁদের। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন কিছু চিকিৎসক।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডিজিটাল হেলথ, অঙ্গ প্রতিস্থাপন, মেডিক্যাল আইন, দ্রুত পাল্টাতে থাকা চিকিৎসা পরিষেবা, সনাতন পদ্ধতির চিকিৎসা বনাম প্রযুক্তি নির্ভর চিকিৎসা সহ অসংখ্য বিষয় নিয়ে চর্চা চলছে তিন দিন ব্যাপী এই চিকিৎসক সম্মেলনে।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথে একজন রাজ্য ও একজন কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ কমিশনের
আয়োজকদের অন্যতম ডাঃ পয়োধি ধর বলেন, রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের বহু বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষক চিকিৎসক তো বটেই, এইমস, পি জি আই চণ্ডীগড় সহ দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট চিকিৎসকরাও ছিলেন এবং আসছেন এখানে। অংশ নিয়েছেন সারা দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের প্রায় এক হাজার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিও!