বাবুল সুপ্রিয়র হঠাৎ তৃণমূল যোগদানে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতেও। বিজেপি নেতারা কার্যত যুক্তি খাঁড়া করার চেষ্টা করেছেন বাবুলের দলবদলকে গুরুত্ব না দিতে। এই পরিস্থিতিতে এদিন দীনেশ ত্রিবেদীর কাছে জানতে চাওয়া হয় বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে। আর সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, 'দল পরিবর্তন করলে বড় উদ্দেশ্য নিয়ে করা উচিত। আমি তাই করেছিলাম। আমিও রেলমন্ত্রী ছিলাম। সেখান থেকে আমাকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন আমি দল ছাড়িনি। বড় উদ্দেশ্য নিয়ে ছেড়েছিলাম। বাবুল সুপ্রিয়র সেটা থাকলে ভালো।'
advertisement
বিধানসভা ভোটের আগে যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়েছিল, সেই স্রোতে গা ভাসিয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদীও। রাজ্যসভার অধিবেশনের মধ্যেই দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর দীনেশ বলেছিলেন, ‘বিজেপিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই সোনার সময়ের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।’ একইসঙ্গে জানিয়েছিলেন, একটি পরিবার হল রাজনৈতিক পরিবার, অপরটি জনতার পরিবার। বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি জনতার পরিবারের যোগদান করেছেন।
আরও পড়ুন: 'বাবুল সুপ্রিয় পলিটিক্যাল ট্যুরিস্ট...' দলত্যাগ প্রশ্নে একের পর এক বোমা ফাটালেন দিলীপ ঘোষ
তৃণমূলের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, 'ওই পার্টিতে একটি পরিবারের সেবা করা হয়। যে দলের নাম করতে চাইছে না আমি। আপনারা সবাই জানেন। আমি কোনওদিন নিজের বিচারধারা ভেঙে এগিয়ে যায়নি। আমার কাছ দেশ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।' এহেন দীনেশকে এখনও তেমন কোনও বড় দায়িত্ব দেয়নি বিজেপি। তবে, ভবানীপুর উপনির্বাচনে দীনেশকে প্রচারে রেখেছে বিজেপি। সেই প্রচারের ফাঁকেই বাবুলের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বড় উদ্দেশ্যের কথা বললেন দীনেশ ত্রিবেদী। যদিও সেই বড় উদ্দেশ্য কী, তা নিয়ে মুখ খোলেননি তৃণমূলের প্রাক্তন এই সাংসদ।