উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের জয়জয়কার। এ নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন...
বিজেপি কোথাও ছিল না। গত লোকসভা, তারপর বিধানসভায় এসেছে। উত্তরবঙ্গের মানুষ হিংসার রাজনীতি কখনও পছন্দ করে না। দক্ষিনবঙ্গের রাজনীতি উত্তরবঙ্গের লোকেরা চায় না। পুলিশ দিয়ে জোর করে পৌরসভা জিতেছে। ভোট করতে দিচ্ছে না। এই রাজনীতি নিয়ে হয়ত বাংলা দখল করা যাবে। কিন্তু বাংলার উন্নয়ন কখনও করা যাবে না।
advertisement
পৌরসভায় বামেদের দ্বিতীয়স্থান দখল নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন...
আগে বামেদের দখলে কটা পৌরসভা ছিল, আর এখন কটা আছে? বামেরা দ্বিতীয় কেন, প্রথম ছিল এক সময়। এবার যে ভোট করা হয়েছে, সেখানে বামেদের দ্বিতীয় করা হয়েছে। এখন সিপিআইএম-এর যা পরিস্থিতি, তাদেরকে ওষুধ খাইয়েও কিছু করা যাচ্ছে না। তৃণমূল চাইছে, বাম দ্বিতীয় স্থানে থাকুক। কিন্তু মানুষ বামফ্রন্টকে আর স্বীকার করছেন না। নৈতিক ভাবে জয় বিজেপির।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে পণবন্দি ভারতের হাজার-হাজার পড়ুয়া? রাশিয়ার দাবিতে তোলপাড় বিশ্ব
বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের কাছে তৃণমূলের পরাজয় প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন...
যা ভোট হয়েছে, সেটা তো ভোট হয়নি। যারা তৃণমূলের পুরানো লোক, বেশিরভাগ যারা সিন্ডিকেট চালায়, যারা প্রমোটার, যারা টাকা কামিয়েছে, তাদেরকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। আর যারা পাননি, তারা জোর করে দাঁড়িয়েছেন এবং জিতেছেন। যাদের লোকবল আছে, তারাই ভোট করায়। যাদেরকে তৃণমূল টিকিট দেয়নি, বুঝতে পেরেছে লোকবল, টাকা তাদের কাছেই আছে, তারাই ভোটটা করিয়েছে এবং জয়ী হয়েছে।
আরও পড়ুন: গরমে হাঁসফাঁস নাকি ঝেঁপে বৃষ্টি, বাংলার জন্য জরুরি পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের! জানুন...
বিজেপির হিমঘরে যাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন...
দেখতে পাবেন যখন নির্বাচন আসবে। যেভাবে নির্বাচনের পরে ৬০জনকে হত্যা করা হয়েছে, ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, কর্মীরা সব ভয় পেয়ে গেছেন। পঞ্চাশ শতাংশ কর্মী পুর নির্বাচনে বের হননি। স্বাভাবিক ভাবেই, আবার বের হলে মার খাবেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে, সেই জন্য বের হননি। পরবর্তী সময়ে বেরোবেন যখন, পার্টি আবার সক্রিয় হবে।