যদিও ভবানীপুরে নির্বিঘ্নে ভোটের পরিবেশ ছিল না বলে এদিনও দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, ''যেভাবে ভয়ের পরিবেশে ভোট হয়েছে, প্রথম থেকে হিংসা হয়েছে, বিরোধীদের আটকানোর চেষ্টা, আর নির্বাচন ওখানে পুরোপুরি করানো হয়েছে। সেই মতোই রেজাল্ট হয়েছে।'' তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রেকর্ড গড়া লিড পাবেন, তা আশা করেননি বলেই জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ''লিড বেশি হয়েছে একটু। আমরা ভেবেছিলাম লিড কম হবে একটু। কিন্তু মানুষ ভয়ে ভোট দিতে বেরোতে পারেননি। সেই কারণে লিড বেশি হয়েছে।''
advertisement
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৮৮৩৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন ভবানীপুরে। এরপরই বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল (Priyanka Tibrewal ) প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই এই পরাজয় হয়েছে তাঁর। রবিবার ফল প্রকাশের পর প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'আমি স্বীকার করছি, আমাদের ভবানীপুরে সংগঠনের দুর্বলতা ছিল। ভোটে জেতার জন্য যে সংগঠনের প্রয়োজন হয়, তা আমাদের ছিল না। মনে রাখবেন, একজন নেতা কখনও জেতেন না, একজন নেতা কখনও হারেনও না। জেতে বা হারে সংগঠন।' তবে, জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। একইসঙ্গে নিজেকে 'ম্যান অফ দ্য ম্যাচ' বলেও অভিহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে কেন বিপুল হার, BJP-র 'গলদ' প্রকাশ্যে আনলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল!
তবে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ভবানীপুরে লড়াই হয়েছে। যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar) সঙ্গে তাঁর দলের নেতারাই কতখানি সহমত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই৷ কারণ রবিবার দিনভরই বিজেপি-র রাজ্য দফতর বা হেস্টিংস কার্যালয় ছিল শুনশান। কোনও নেতা, কর্মীদেরই সেভাবে চোখে পড়েনি৷ ফলে ভবানীপুরে সত্যিই লড়াই হয়ে থাকলে বিজেপি নেতা, কর্মীরা দলের রাজ্য দফতরে আসার উৎসাহটুকু পেলেন না কেন, সেই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে৷
