১০৮ টি পৌরসভা নির্বাচনে হিংসা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন....
অনেকের ধারণা ছিল কোর্টে যাওয়া হয়েছে। কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে পুলিশকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য। তারা কথাও দিয়েছিল শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাবে। কিন্তু দিন শেষ হতে হতে ভয়ংকর রূপ নেয়, বোম গুলি টিয়ার গ্যাস চলেছে, রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে, পুলিশ মার খেয়েছে, সাংবাদিক মার খেয়েছে, বিরোধীরা তো মার খেয়েইছে, সেইজন্য রাস্তা অবরোধ করে টায়ারও জ্বালিয়েছে। যত রকম হিংসা হতে পারে, সবই হয়েছে। সার্বিকভাবে যে বিধানসভা গুলোতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছিল, সেগুলোতে পৌর নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা হয়েছে। টিমসি হিংসা ছাড়া নির্বাচন জিততে পারবে না, এটা নিশ্চিত। ওরা প্রথম থেকে ঠিক করে নেয় মারপিট করে ভোট লুট করবে।
advertisement
আজ বাংলা বনধের ডাক বিজেপির পক্ষ থেকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন......
এ ছাড়া কোন রাস্তা নেই। গণতন্ত্রের কোন অস্তিত্ব নেই পশ্চিমবঙ্গে। পুলিশ প্রশাসন এক তরফা কাজ করছে। কোর্টও ওদের ওপর নির্ভর করছে। মানুষ ন্যায়ের জন্য কোথায় যাবে। বিজেপি নৈতিকভাবে বনধের সমর্থন করে না। কিন্তু পশ্চিমবাংলায় এছাড়া কোন রাস্তা থাকে না। তাই এই রাস্তায় আমাদের হাঁটতে হচ্ছে।
বিরোধীরা পথে নামছে। সেই নিয়ে তিনি বলেন.....
সবাইকে আহ্বান করা হয়েছে পার্টির তরফ থেকে। এটা পার্টির বনধ নয়, যেভাবে মানুষকে গণতন্ত্রের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, নিগ্রহ করা হয়েছে, প্রার্থীদের মারধর করা হয়েছে, মহিলা প্রার্থীদেরও ছাড়া হয়নি। বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তাই বনধের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়াকে আর্থিক সাহায্যের জন্য ট্যুইট জেপি নাড্ডার! শোরগোল পড়তেই সামনে এল সত্য
বনধ নিয়ে নবান্নের কড়া নির্দেশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন......
ঠিক আছে সরকার তার কাজ করবে। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭৫-৭৬ বার বনধ ডেকেছেন। বনধের রাজনীতিকে তিনি জনপ্রিয় করেছিলেন। আজকে বলছেন বনধ চলবে না। আনিস হত্যা নিয়ে পথে নেমেছে বিরোধীরা, সেই সময় তিনি বলেছেন বনধ বরদাস্ত করবেন না। কিন্তু তিনি হাইওয়ে অবরুদ্ধ করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। টাটার কারখানা বন্ধ করতে হাইওয়ে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আজ আপনি ভালো হয়ে গিয়েছেন।