এদিন ইকো পার্কে প্রাতভ্রমণে বেড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এরা বিজেপির নেতা ছিলেন না। দলের টিকিট পেয়ে জিতেছিলেন। এদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আদালতের দারস্থ দল হবে।"
মুকুল রায় দল ছাড়া ঠিক যতটা কঠোর মনোভাব নিয়েছিল বিজেপি এই দুই বিধায়কের ক্ষেত্রে তেমন অবস্থানই নিতে চাইছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। সে সময়ে দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর, তন্ময়-বিশ্বজিতের ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটতে পারে বিজেপি। এর পাশাপাশি মঙ্গলবারই শুভেন্দু অধিকারী তন্ময় ঘোষ ও বিশ্বজিৎ দাস-কে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তাঁদের অন্য দলে যোগদানের প্রমাণ হিসেবে সংবাদমাধ্যম থেকে তুলে নেওয়া পেপার কাটিং রয়েছে। এক সপ্তাহ সময় দিয়ে বলা হয়েছে জানাতে কেন ওই দুই বিধায়ক দল ছাড়লেন।
advertisement
সোমবার ব্রাত্য বসুর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। মঙ্গলবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার দলে ফিরিয়ে নেন বিশ্বজিৎ দাসকে। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বিশ্বজিৎ। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে মুকুল রায়ের পথ অনুসরণ করে তিনি দল ছেড়েছিলেন। তবে নতুন দলে বনিবনা কখনোই খুব ভালো হয়নি। বরং শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বাগদান বিধায়ক এর দূরত্ব প্রথম থেকেই স্পষ্ট ছিল। শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন তন্ময় কে পুলিশি চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাই দলবদল। বিশ্বজিৎ অবশ্য ঘরে ফিরতে চাইছিলেন তা কাকপক্ষীও জানে।