প্রসঙ্গ: মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের সঙ্গে মমতার বৈঠক
দিলীপ ঘোষ: ২০১৯ সালের সেই ডায়লগ গুলো মনে করুন। কী বলেছিল। বিজেপি একটাও সিট পাবে না। মোদি হটাও দেশ বাঁচাও। তারপরে মোদি ৩০৩ টা সিট পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ১৮ টা সিট পেয়েছিলাম। তখন লালু, মুলায়ম, শিবসেনা অনেকের সঙ্গে ছিলেন, তারা এখন অনেকে শহিদ হয়ে গেছে, অনেককে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
advertisement
প্রসঙ্গ: ED, CBIতৎপরতা বৃদ্ধি
দিলীপ ঘোষ: মানিক ভট্টাচার্যকে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদের পর একাধিক বড় অভিযান এই সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা হাওড়া অঞ্চলে করতে চলেছে ED। গত কয়েক মাস ধরে বা বছর ধরে বলতে পারেন এই সমস্যা গুলো এনকোয়ারি হচ্ছে। বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ হয়েছে তার মধ্যে। এরপর বিভিন্ন লোককে ডাকা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে, যে তথ্য এসেছে তার ভিত্তিতে তদন্ত করতে হবে। কোর্টও চাপ দিচ্ছে তদন্ত তাড়াতাড়ি শেষ করতে। স্বাভাবিকভাবে অনেকে ধারণা করছেন, এটা হতে পারে।
প্রসঙ্গ: অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে ইডির অফিসে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ
দিলীপ ঘোষ: অনেককেই সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে যদি ডাক আসে। বহু নেতা-নেত্রী আছেন, যারা এভাবে টাকা সংগ্রহ করেছেন, তার উৎস কোথায় তাদের কাছে সদুত্তর নেই। যে রকম যেরকম জিজ্ঞাসাবাদ করবে, সেরকম তথ্য সামনে আসবে।
আরও পড়ুন: দুয়ারে সিপিএম! খেলা ঘোরানোর আপ্রাণ চেষ্টায় বামেরা! চাইছে 'আপনার মতামত'
প্রসঙ্গ: প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গোবিন্দভোগ চালের রপ্তানিতে কর মকুব করতে হবে
দিলীপ ঘোষ: সরকার ভেবে দেখবে। নতুন নতুন ইস্যু বার করা হচ্ছে। গোবিন্দভোগ চাল রপ্তানির জন্য। এখানকার লোকই খেতে পারছে না। কত তথ্য আছে , কী আছে বাংলার? চা, পাট। উত্তরবঙ্গের চাল নিয়ে ব্র্যান্ডিং হওয়া উচিত। অন্যান্য জায়গা থেকে বিভিন্ন রকম চাল ইত্যাদি ব্র্যান্ডিং করে দেশে-বিদেশে বিক্রি করছে। পশ্চিমবঙ্গের সরকারের এ ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই। এরকম অনেক জিনিস আছে, যেটা আমরা ব্র্যান্ডিং করে পয়সা আনতে পারি। সে চিন্তা ভাবনা করার সময় নেই। শুধু রাজনীতি করছে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু ছাড়াই সব সম্ভব, প্রমাণে মরিয়া তৃণমূল! তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ অবিভক্ত মেদিনীপুর
প্রসঙ্গ: একশো দিনের কাজের টাকা নেই। ক্যাবিনেট বৈঠক।
দিলীপ ঘোষ: দেখুন বৈঠক করে সমাধান হবে না। রাজনীতির উর্ধ্বে উঠতে হবে। সব জায়গায় যদি রাজনীতি খুঁজতে যান, সব জায়গায় ভোট দেখতে যান, তাহলেই দুরবস্থা হবে। যেটা হয়েছে সরকার এখন দিশেহারা কী করবে বুঝতে পারছে না তাও মোদি হটাও। তার জন্য স্ট্যালিনের কাছে যেতে হবে, স্ট্যালিন তো টাকা দেবেন না। টাকা কেন্দ্র সরকার দেবে। সেই টাকা সৎভাবে ব্যবহার হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গ: গুজরাটের সেতু বিপর্যয়ে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি হওয়া উচিত। মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দিলীপ ঘোষ: ওখানকার রাজ্য সরকার সঙ্গে সঙ্গে করে দিয়েছে তদন্ত কমিটি। ১৫ মিনিটের মধ্যে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছিল এবং প্রথম আহত ব্যক্তি ১৯ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছেছিল। সকালবেলা পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, দুদিন পর প্রধানমন্ত্রী। আর এখানে মাল নদীতে যে বিপর্যয় হয়েছিল, তার নিজস্ব সরকারের লোকেরা দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল, তারপর মুখ্যমন্ত্রীর ৭ দিন লেগেছে সেখানে যেতে। তাই অন্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে লাভ নেই।
প্রসঙ্গ: পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসনে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার
দিলীপ ঘোষ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, বিজেপি নাকি চক্রান্ত করছে গন্ডগোল করার জন্য। অথচ ওঁর পার্টির নেতাদের বাড়িতে অস্ত্রের ভান্ডার। সব জায়গায় ধরাও পড়ছে। আপনার বাড়িতে অস্ত্র ধরা পড়বে আর আমরা গন্ডগোল করব? পাগলের কথা বিশ্বাস করবে নাকি? এই ধরনের উল্টোপাল্টা কথা বলে লোককে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।