নাড্ডার সেই নির্দেশ শিরোধার্য করে দিলীপ গেছেন মিজোরামে। কিন্তু, মিজোরামে বসে রাজ্য রাজনীতির সলতে পাকানো ছাড়ছেন না দিলীপ। কী করলেন দিলীপ? মিজোরাম থেকে টুইট করে জানালেন, রাজ্যের শিক্ষা দূর্নীতি নিয়ে কারো কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তিনি তা যেন দিলীপ ঘোষকে ই -মেইল করে জানান। অভিযোগের সমর্থনে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণাদি পাঠাতে নিজেরই মেইল আইডি-রও উল্লেখ করেছেন দিলীপ।
advertisement
আরও পড়ুন: জরুরি পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের! আজ কি দিনভর বৃষ্টি নাকি তীব্র গরমের অস্বস্তি?
বিতর্কের শুরু এখানে। প্রশ্ন ১) দিলীপ ঘোষ, এখন আর সেই অর্থে রাজ্য নেতা নন। তিনি জাতীয় নেতা। শিক্ষা দূর্নীতি ইস্যুতে এ ধরনের একটি উদ্যোগ আগে বর্তমান রাজ্য সভাপতি নিজেই নিয়েছেন। তারপরেও কেন পৃথক ভাবে এই উদ্যোগ নিলেন দিলীপ? তা হলে কি সুকান্তকে টেক্কা দিয়ে দলকে দেখাতে চান দিলীপ? প্রশ্ন ২) দলের একাংশ বলছে, দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপি থেকেই আজ সর্বভারতীয় নেতা। শিক্ষা দূর্নীতির মত ইস্যুতে তিনি না হয় মাঠে নামলেন। কিন্তু, অভিযোগ জানাতে, রাজ্য বিজেপির সরকারি ই- মেইল থাকা সত্বেও, ব্যক্তিগত ই মেইলে পাঠানোর কথা বললেন কেন? তাহলে কি তিনি নিজেকে রাজ্য বিজেপির এই উদ্যোগ থেকে আলাদা করে তুলে ধরতে চাইছেন? দেখাতে চাইছেন রাজ্যের মানুষ বিজেপির নেতা বলতে দিলীপ ঘোষকেই বোঝে?
আরও পড়ুন: মহিলাদের সামনের সারিতে আনতে পারেন একটা মানুষই, কার কথা বললেন স্মৃতি ইরানি?
পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, দিলীপের এই টুইট -ট্যাকটিক্সের উত্তর পেতে হলে একটু পিছনে তাকাতে হবে। ২১ এর বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল তখন '' দিদিকে বলো" স্লোগান নিয়ে ময়দানে ঝড় তুলতে নেমেছে, মমতার পাল্টা চালে দিলীপ ঘোষ তাঁর 'ব্রান্ড ক্যাম্পেইন বানালেন '' দাদাকে বলো"। আমফানে ত্রাণের টাকা চুরির অভিযোগ নিয়ে জেরবার তৃণমূলের দূর্নীতির বিরুদ্ধে দিলীপ এই স্লোগানকে তুরুপের তাস করেছিলেন। ফলে, দিলীপের কাছে এটা নতুন কিছু নয়।
কিন্তু, ফারাকটা এটাই সে সময় দিলীপ ঘোষ ছিলেন রাজ্য বিজেপির কান্ডারী। দলের একমাত্র মুখ। কিন্তু, আজ তা নন দিলীপ। ঘনিষ্ঠরা বলছেন, এটা কি তাহলে জেনেবুঝে দিলীপের ''জলঘোলা ' করার নতুন চাল! না কি রাজ্য রাজনীতিতে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখতেই মরিয়া চেষ্টা দিলীপের? তবে, নিন্দুকরা যাই বলুন না কেন, প্রকাশ্যে দিলীপের এই প্রয়াসের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর মতে, ''ভালই তো দিলীপ দা কিছু করলে সেটা ডাবল বেনিফিট হবে দলের।'' তবে, তারই মধ্যে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত, এই উদ্যোগ তিনি রাজ্য বিজেপির তরফে আগেই নিয়েছেন।