শিল্প সম্মেলন নিয়ে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আমরা জানতে চেয়েছিলাম একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ হোক যাতে দুটো বিষয় থাকবে গত পাঁচটা বিজনেস সম্মেলনে কত টাকা বিনিয়োগ হয়েছে? কত মানুষ চাকরি পেয়েছে? সরকারের কত লাভ হয়েছে? আর পাশাপাশি এও থাকবে কত শিল্প বন্ধ হয়েছে গত ১০ বছরে। তাতে কত শ্রমিক বেকার হয়েছেন? কেন বিদ্যুৎ সারপ্লাস হচ্ছে বাংলায় যেখানে সব জায়গায় বিদ্যুৎ কম সেখানে কেন শিল্প হচ্ছে না? সেটা না জানলে এই শিল্প সম্মেলনের কোন মূল্য নেই গরিব মানুষের ট্যাক্সের টাকা শ্রাদ্ধ হচ্ছে।"
advertisement
আরও পড়ুন : আজ রাজ্যজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, হতে পারে কালবৈশাখী ঝড়ও !
মুকুল রায় প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমরা দাবি করেছি একটা নয় একাধিক ঘটনা হচ্ছে গত বিধানসভার সিপিএম কংগ্রেস থেকে বহু লোক তৃণমূলে গিয়েছিল। আমরা কিন্তু গণতন্ত্রের স্বার্থে। এ লড়াইয়ে যেভাবে রাজ্যের গণতন্ত্রকে হাস্যকর জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে আগামী দিনের জন্য তা চিন্তার বিষয়। এর বিচার হওয়া উচিত।"
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির জাহাঙ্গিরপুরীতে যাওয়া প্রসঙ্গেও বিঁধতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। তিনি পাল্টা বলেন, "জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূলের কমিটি যাচ্ছে, কিন্তু বাঁকুড়ায় কে যাবে? সেখানে সাম্প্রতিক হিংসা হয়েছে ইঁট-পাটকেল মারা হয়েছে, শিবপুরে হয়েছে, ইসলামপুরে হয়েছে, সেখানে কেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি যাচ্ছে না। দিল্লিতে যথেষ্ট যোগ্য লোক আছে। যারা দুষ্কৃতিমূলক করেছে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাদের কলার ধরে, কোমর ধরে নিয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবাংলায় সে দৃশ্য কবে দেখব? যারা সমাজবিরোধী খুন-খারাপি করছে তাদের কোমরে দড়ি কবে পড়বে? পুলিশের দম আছে কি, বা সরকারের সদিচ্ছা আছে কি?"
আরও পড়ুন : দেশে ফের বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ, তবে "চতুর্থ ঢেউ নয়" বলেই দাবি বিশেষজ্ঞের
পিকের কংগ্রেসকে দেওয়া সাংগঠনিক ৫ দাওয়াই প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ তীব্র কটাক্ষ শানান। তাঁর কথায়, "রোগী আইসিইউতে এমন অবস্থায় চলে গেছে সে স্যালাইন নিচ্ছে না তাকে কী আর দাওয়াই দেবেন? কংগ্রেস কী আছে যে এই পরিস্থিতিতে প্রশান্ত কিশোরের দাওয়াই নিয়ে কাজ করবেন নেতারা? সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নেই।" কংগ্রেসের নেতৃত্বকে চরম কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, "কে নেতা কংগ্রেসের? একবার মা একবার ছেলে জোর করে এক একজনকে নেতা বানানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও পার্টি টিকে থাকতে পারে না। তাই সাধারণ মানুষ তাকে ভুলে যাচ্ছে।"
অন্যদিকে রাজ্য সরকারের দেউচা পাচামি প্রকল্প প্রসঙ্গে এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেন, "সব সময় আমরা শিল্পের পক্ষে আছি সেখানে কর্মসংস্থান হবে যেখানে চাকরি হবে সরকারের আর্থিক লাভ হবে। কিন্তু সেখানকার মানুষকে জোর করে সিঙ্গুরে যেমন সিপিএম জোর করেছিল ঠিক একইভাবে বীরভূমে দেওচা পাচামি হচ্ছে যা মেনে নেওয়া যায় না। আদিবাসীদের জমি জোর করে নিতে পারে না এই সরকার। সেই বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে বলে বিরোধিতা করছে মানুষ। মানুষের সঙ্গে কথা বলা দরকার আছে। সরকারের কেউ তাদের সাথে কথা বলছে না দালাল লাগাচ্ছে, আমাদের মনে হয়েছে আমরা বিরোধী দল তাই তাদের সঙ্গে থাকা উচিত। তারা যদি নিজে থেকে জমি ছাড়েন তাহলে শিল্প হবে। সিঙ্গুরে সিপিএমের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লোক যা করেছিল আজকে সেই একই জিনিস হচ্ছে।"
সাহ্নিক ঘোষ
