তৃণমূলের একাধিক নেতার অত্যাধিক সম্পত্তি নিয়ে মামলায় হাইকোর্ট ইডি-কে পার্টি করেছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''চোর ডাকাতদের কোন মান সম্মান থাকে না। মোদিজি না দিলীপ ঘোষ কে কেস করেছে? সাধারণ মানুষ কেস করেছেন। নারদা আর সারদার কেসকে করেছে? সাধারণ মানুষ কেস করেছে। পার্টি তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরে, তারা শুধু একমাত্র বিজেপি নয়, পরে সিপিএম কংগ্রেসও যুক্ত হয়েছে। পরবর্তীকালে SSC , টেট দুর্নীতি সহ গরু পাচার,কয়লা দুর্নীতি- সাধারণ মানুষ জানে কার কত বাড়িঘর আছে, কার কত গাড়ি আছে, কোথায় কোথায় সম্পত্তি হোটেল আছে? বোকা ভাবেন নাকি মানুষকে? এতদিন লুঠ করছিলেন, ভাবছিলেন কেউ কিছু করবে না। আজ যখন দেখছেন ব্যাপারটা উল্টো হয়ে গেছে, উল্টোপাল্টা বলছেন। আইন থেকে কেউ বাঁচবেন না। ভারতবর্ষের আইন সংবিধানের উপর যাতে মানুষের আস্থা ফিরে আসে, তার জন্য এই ব্যবস্থাটা খুব জরুরি ছিল।''
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রত গ্রেফতার, জেলে বসেই খবর শুনে অবাক করা প্রতিক্রিয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের!
এখানেই শেষ নয়, ববি হাকিম বার বার সাংবাদিক বৈঠক করছেন। এরপর কি তিনি গ্রেফতার হতে পারেন? এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''ওঁরা কখনও ভেবেছেন, কত মানুষকে ওঁরা কাঁদিয়েছেন? অনুব্রতর জেলায় ৭৩১টা গাঁজা কেস হয়েছে। তারা কারা? আমাদের পার্টির লোক। কিছু অন্য লোক আছে, যারা বিরোধিতা করেছে। তাদেরকে গাঁজা কেস দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তারা জেলের মধ্যে পচছে। যাদের এখন চোখের জল বেরোচ্ছে, তারা কখনও ভেবেছিলেন বাংলার মানুষ কীভাবে বেঁচে আছেন? এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলেছেন কম করে ৩৮ হাজার লোকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। অনেক কম বলেছেন। কত কোটি টাকা লুঠ হয়েছে! সেই পরিবারগুলো জমি বাড়ি বিক্রি করেছে। সেই তারা রাস্তায় বসে আছে, পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে।''
আরও পড়ুন: আর পথ নেই পার্থর! এক নথিতেই সব ফাঁস, পরিবারের দিকে চোখ দিতেই চক্ষু চড়কগাছ ইডি-র
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে তৃণমূল কংগ্রেস আজ পথে নামছে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেত্রী ছিলেন, রোজ রাস্তায় নেমে সিবিআই তদন্তের দাবি করতেন। কুকুর বিড়াল মরে গেলেও সিবিআই তদন্তের দাবি করতেন। আজ সেই সিপিআইএম বদলে গেল, যখন টাকা বার করছেন ওদের বাড়ি থেকে, তখন সিবিআই খারাপ হয়ে গেল! সবে শুরু। পার্থ বাবু জুতো খেয়েছেন, কেষ্ট দা জুতো খেয়েছেন। তোমরাও জুতো খাবে। যদি যাও ছেঁড়া জুতো ছুড়ে মারবে লোকে। যদি মান সম্মান থাকে, মা বাবার মান সম্মান রাখতে চাও, রাস্তায় বেরিও না, চোরেদের জন্য লোকে জুতোপেটা করবে, আমরাও করব।''
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গেলে প্রতিবার বামেদের তরফ থেকে সেটিং রাজনীতির তত্ত্ব তুলে আনা হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''সেটিং ফিটিং সব চলে গেছে। কোনও সেটিং কাজ করবে না। প্রথম সেটিং তৈরি হচ্ছে খেয়াল রাখুন। আপনাদের নেতাদেরও নাম এসেছে। সেটিং-এর গল্প এবার শেষ হবে। পশ্চিমবঙ্গ পাপের সাগরে ভেসে যাচ্ছে। তার থেকে মুক্তির জন্য এই শুদ্ধি যজ্ঞ শুরু হয়েছে। এতে বাংলার খানিকটা শুদ্ধি হবে।''