অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান প্রসঙ্গে এদিন কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি স্পষ্ট বলেন, “ওই একজনই তৃণমূলের সফল জেলা সভাপতি। বাকিরা যায় আসে। ওরাই ভোট করে। ওরাই সংগঠন করে।” এই প্রসঙ্গে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম করে দিলীপের মন্তব্য, “পার্থ, বালুর বিকল্প আছে।”
advertisement
“তাহলে কি অনুব্রতর বিকল্প নেই?” সাংবাদিকদের প্রশ্নে দিলীপ ঘোষ বলেন, “উনি কয়লা, বালি, পাথর, গরু, চাকরি, সব জায়গায় লুঠ করেছে। পার্টিকে সুবিধা দিয়েছে। তাই ওকে ঝেড়ে ফেলতে সময় লাগছে। বাকিরা দিদির নামে করে খেয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডলের গুরুত্ব অনেক বেশি। তিনি দিদিকে বড় করেছেন।”
অন্যদিকে এথিক্স কমিটির সিদ্ধান্তের পরেও মহুয়া মৈত্রকে কৃষবনগরের দায়িত্বে রাখা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “মহুয়া আগেও জেলা সভাপতি হয়েছেন। হয়ত দল ভাবছে, সাংসদ পদ তো চলে যাবে। কিছু একটা দিয়ে রাখি। নাহলে হয়তো পার্টি ছেড়ে চলে যাবে।”
জয়নগর কাণ্ড প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, “এই ধরনের হত্যাকাণ্ড ও ধংসলীলা আজ নয়। অনেকদিন ধরেই হচ্ছে। বগটুই ও বীরভূমের একাধিক জায়গা। মূলত সংখ্যালঘু সমাজকে টার্গেট করা হচ্ছে। লড়াই ওদের মধ্যে। আর সেটা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। ওদের রাজনীতির বোরে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দুষ্কৃতিদের নেতা বানিয়ে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তারা যা খুশি করে বেড়াচ্ছে। যারা সরকারি পার্টিতে আছে, তারা সংরক্ষণ পাচ্ছে। আর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক জিনিস বগটুইতে হয়েছিল। সরকার কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী কোথায়?”
শঙ্কু সাঁতরা