কর্মসূচি সফল করতে প্রায় কোমর বেঁধে নেমছে গেরুয়া শিবির৷ দিলীপ ঘোষের কথায় , "দীঘায় সমুদ্রের পাড়ে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। সেই দৃশ্য মানুষ যেমন ঘরে বসে টিভিতে দেখছে। কালকে নবান্ন অভিযানে মানুষের ঢেউ একই ভাবে আছড়ে পড়বে কলকাতার রাস্তায়।"
আরও পড়ুন: ভয় ছিল রাস্তায় ঢিল ছুড়বে না তো, তবু প্রেমের টানে আর এক পুরুষকে বিয়ে অভিষেকের
advertisement
ইতিমধ্যে হাওড়া ময়দানের কাপড়ের হাট ব্যবসায়ীরা হাওড়া পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, ১৩ই সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান হলে ব্যবসার ক্ষতি হবে। এ নিয়ে দিলীপের কটাক্ষ, "এতদিন ব্যবসার ক্ষতি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।তখন তারা প্রতিবাদ করেন নি।বাংলায় কোনোও ব্যবসায়ী নেই, কারখানা নেই, শিল্প নেই। সবাই রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছে।"
আরও পড়ুন: নিজের মাথায় সিঁদুর পরিয়ে নিজেকেই বিয়ে গুজরাতি তরুণীর, এবার মধুচন্দ্রিমা!
শনিবার গার্ডেনরিচের টাকা উদ্ধারের ঘটনা প্রসঙ্গে ফিরহাদ ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, "আমার মনে হয়, বাংলার ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতেই এই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে৷ এত অভিযান চলছে৷ যেখানে টাকা উদ্ধার হচ্ছে, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে, সেখানে ঠিক আছে৷ কিন্তু তা বাদ দিয়ে এত অভিযান করে ব্যবসায়ীদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে, বাংলায় ব্যবসা বিনিয়োগ করতে যেও না৷ এই কারণেই চোদ্দ হাজার ব্যবসায়ী ভারত ছেড়ে বিদেশে চলে গিয়েছেন৷ এটা বাংলার অর্থনীতিকে ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত বলেই আমার মনে হচ্ছে৷" মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাল্টা হিসাবে দিলীপ ঘোষ বলেন "কালো টাকা উদ্ধারের ঘটনায় যদি সরকার পড়ে যায়। তাহলে এখুনি পড়ে যাক। আগামীকালের বিজেপির নবান্ন অভিযান হচ্ছে, হবেই। " যেকোনও ভাবে নবান্নের দিকে এগোবে বলে দাবি করছে বিজেপি। তবে আগামিকালের কোনওকিছুই দেখতে পাবেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ আগামিকাল তিনি থাকছেন বীরভূম জেলায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায়, যাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করবার জন্য বিজেপি অভিযান করছে।তিনিই যদি না থাকেন।তাহলে অভিযানের প্রাসঙ্গিকতা কি?