সদ্য উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপির সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের বাড়িতে একটি পুজোর আয়োজনে যাওয়া নিয়েও তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় কটাক্ষ করে বলেন, ওই বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীও গিয়েছিলেন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও গিয়েছিলেন। তাপস রায়ের নিশানায় যে তাঁরই দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাও গোপন করেননি বর্ষীয়াণ নেতা তাপস রায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,' তাপস রায় এতদিন পর বুঝতে পারলেন যে, দলের মধ্যেই অনেকে অন্য দল ও একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। চক্রান্ত করছে। উনি তো একজন আদি নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ। তৃণমূলের অন্দরের কি অবস্থা তা বুঝতে এতদিন সময় লাগল ওনার। যাক ভালো, দেরিতে হলেও তো বুঝেছেন। বিলম্বিত বোধোদয়'।
advertisement
আরও পড়ুন: হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট, মুক্তি চেয়েও স্বস্তি পেলেন না মানিক
এই মুহূর্তে আমাদের দলের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত চলছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। দিদির মহানুভবতার সুযোগ নিয়ে অনেকে ক্ষতি করেছে। দলে ডিভাইডেড লয়ালিস্ট আর ডেডিকেটেড লয়ালিস্ট আছে ৷ ডেডিকেটেড লয়ালিস্টদের সামনে আনতে হবে। তাদের সিক্রেট কথাবার্তায় রাখতে হবে। না হলে দল নানা অসুবিধা ফেস করবে। প্রকাশ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তাপস রায় ৷
আরও পড়ুন: নজরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, আড়াই মাস ধরে চলবে তৃণমূলের মহিলা পঞ্চায়েতি সভা
দলেরই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা আমার এতদিন রাজনৈতিক মহল দেখে মনে হয়েছে। অনেকে একাধিক জনের বা দলের সাথে সম্পর্ক রাখেন। এটা দলের দেখা উচিৎ। কয়েকটা মানুষ নিজেদের স্বার্থে দলকে ব্যবহার করছে। এদের নাম প্রয়োজনে সামনে আসবে। এরা দলের বোঝা, এরা অ্যাসেট নয়'। তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের এই বক্তব্য সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক তরজা শুরু শাসক-বিরোধী শিবিরে।