১) প্রশ্ন:: সিবিআই, এরপর ইডির হানা প্রসন্নর ভিলায়। সামনে এল বাগানবাড়ি রহস্য।
★দিলীপ ঘোষ: আগে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই জামিন পেয়েছিলেন। ইডি হয়ত মনে করছে আরও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে। তাই ফের তদন্ত হচ্ছে। দুর্নীতির জাল এত বড় যে কে যুক্ত আর কে নয়! অনেকে অজান্তে যুক্ত হয়ে পড়েছে। কে সুবিধা পেয়েছে কে পায়নি? এভাবেই বিশাল বিস্তার হয়েছে। তার কিনারা খোঁজার চেষ্টা চলছে।
advertisement
২) প্রশ্ন:: মুখ্যমন্ত্রীর সংহতি মিছিলে আদালতের অনুমতি
★দিলীপ ঘোষ: আগে তৃণমূলের মধ্যে সংহতি করুন। সংহতির নামে হিন্দু বিরোধীদের এককাট্টা করার চেষ্টা হচ্ছে। আমার মনে হয় না কোনও হিন্দু এই সংহতি মিছিলে যাবে। যার শরীরে হিন্দু রক্ত আছে, সে রামের বিরুদ্ধে যাবে না। যারা তৃণমূলের উচ্ছিষ্ট ভোগী, এই করেই খাচ্ছে আর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, এরকম কিছু লোক যাবে। আর যারা সিএএ পাস হওয়ার পর সারা বাংলায় আগুন জ্বালিয়ে ট্রেন বাস রেল জাতীয় সড়ক অচল করেছিল, সেই সমস্ত রাষ্ট্রবিরোধীদের নিয়ে এখানে রামের বিরুদ্ধে মিছিল হবে।
আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের উদ্বোধন সোমবার, সরকারি অফিসের মতো ব্যাঙ্কেও কি ছুটি ২২ জানুয়ারি? বড় খবর
৩) প্রশ্ন:: সেই আদালতে গিয়ে আইএসএফের সভার অনুমতি ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই
★দিলীপ ঘোষ: সবাইকে আদালতে যেতে হয়। কারণ এখানে সরকার বলে কিছু নেই। আমরা খুঁজে পাই না সরকার কোথায় আছে। অনুমতি কে দেবে? পুলিশ কোথায়? টাকা তুলতে, চাঁদা তুলতে আর ফুটবল খেলতে ব্যস্ত। প্রশাসন কে চালাবে? কোর্ট আছে। ভালো মন্দ যাই হোক কোর্টের কাছেই বিরোধীদের যেতে হয়। তৃণমূলের নেতা খুন হলেও পুলিশে ভরসা না রেখে কোর্টে যেতে হয়।
আরও পড়ুন: বদলে গেল মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়! হল ঘোষণা… জানুন ক’টা থেকে শুরু হচ্ছে পরীক্ষা
৪) প্রশ্ন:: প্রসঙ্গ সন্দেশখালি, রাজ্যকে রাজধর্ম মনে করাল হাইকোর্ট
★ দিলীপ ঘোষ: আদালত বা রাজ্যপাল, এই দুটি স্তম্ভই এখন মানুষের ভরসা। সমস্যায় পড়লে মানুষ এখন আদালতে যায়। বা রাজ্যপালের কাছে যায়। কারণ আর কারও কাছে আশা নেই। কেউ কানমলা দিচ্ছে। কেউ চিঠি লিখে রাজধর্ম মনে করিয়ে দিচ্ছে। সরকার ঘুমাতে চলে গিয়েছে। বেহায়া নির্লজ্জদের কিছু হয় না।
৫) প্রশ্ন::কুকুরের বিবাহবার্ষিকী
★দিলীপ ঘোষ: হেমন্ত বিশ্ব শর্মা একবার গল্প করছিলেন, কেন তিনি কংগ্রেস ছেড়েছেন। রাহুল গান্ধি একবার তাকে বাড়িতে খেতে ডেকেছিলেন। রাহুল আমাদের সঙ্গে খান নি। সামনে কুকুর বিস্কুট খাচ্ছিল। পশ্চিমবঙ্গে আগে জমিদারের বউরা পুতুলের বিয়ে দিত। এখন কেউ কুকুরের ডায়ালিসিস করছে। কেউ বিবাহবার্ষিকী করছে। আপনার আমার টাকায় ভূতের শ্রাদ্ধ হচ্ছে। গরীব মানুষ কিছু পায় না। এরকম লোক, যারা দাপিয়ে বেড়ায়, তারাই ফুর্তি করে।
৫) প্রশ্ন:: ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি
★দিলীপ ঘোষ: ১৪ লক্ষ ৪২ হাজার ভুয়ো জব কার্ড। হয় মালিক নেই, অথবা যার নামে কার্ড তার হাতে কার্ড নেই। এই লোকের কাজের টাকা উঠছে। কিন্তু খেয়ে ফেলছে কে? কোথায় যাচ্ছে এই টাকা? এটাও তদন্ত করে বের করার দরকার আছে।
