ত্রিপুরা ও মেঘালয় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দিলীপ বলেন, ''সারা ভারতবর্ষে যেমন হচ্ছে বিজেপি এগিয়ে আছে সব দিক দিয়ে। সেই জন্য বাকিদের আর উৎসব করার সুযোগ থাকবে না। কেউ কেউ খাতা খোলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পরিস্থিতি যা মনে হচ্ছে, সম্ভব নয়। যদি খাতা খুলতে পারেন, তাহলেই সেটাকে জয় মনে করবেন ওঁরা, আর কী।''
advertisement
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মেঘালয় যাচ্ছেন। সেই বিষয় নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''ওখানে হোটেল বুক করা আছে টিকিট আগে থেকে কেনা আছে, যেতেই হবে। কিন্তু চেষ্টা করছে ওরা সারা ভারতবর্ষে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাফল্য আসেনি। জানি না এমনকী যারা এসেছিলেন ওনাদের সঙ্গে মেঘালয়ে, তারাও চলে গেছেন।''
আরও পড়ুন: বাগুইআটিতে জোড়া নাবালক খুন, গোপন বয়ান রেকর্ড রাজসাক্ষী দিব্যেন্দুর!
মাধ্যমিকের পরীক্ষার মাঝে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ আদালতের। আবার কয়েকদিন পরে উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা কতটা সমস্যায় পড়তে পারে শিক্ষা দফতর। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''সমস্যা তো শুরুই হয়ে গেছে, সমস্যা খালি শিক্ষা দফতরের নয়। যারা টাকা দিয়েছেন যারা টাকা নিয়েছেন, এরাও সমস্যায় পড়বেন এবং পড়ছে। সমাজের সাধারণ মানুষের যে বিশ্বাস ছিল সরকারি দফতরের উপরে বা মন্ত্রী নেতাদের উপরে সেই বিশ্বাসটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেউ কাউকে আর বিশ্বাস করতে পারছে না। এরকম একটা আত্মবিশ্বাসহীনতা সমাজের মধ্যে তৈরি হচ্ছে, এটা খুবই খারাপ।''
আরও পড়ুন: পাখির চোখ অভিষেকের, নজর মমতারও! মেঘালয়ে এবার তুমুল চমক তৃণমূলের?
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বাবুঘাটে গঙ্গারতি করবেন, তার জন্য স্টেজ সমস্ত কিছু সাজানো হচ্ছে যখন বিরোধীরা করতে গেছিল, তখন পুলিশ দিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''তৃণমূল সব জিনিস দেরিতে বোঝে, তাদের নেতারাও আর মুখ্যমন্ত্রীও তাই। ওরা ঠেকে শেখে। ওরা ঠেকে শিখছেন। এখানে যদি হাজার হাজার লোক জড়ো হয়ে যায় গঙ্গা আরতি দেখতে বা করতে, তাকে বাধা দিয়েছেন, এখন প্রায়শ্চিত্ত করছেন। যাই হোক, ভালো কাজ দেরিতে হলেও হওয়া উচিত। টিএমসি পার্টির যা অবস্থা, বুড়িগঙ্গারও তাই অবস্থা। সেই জন্য আলাদা কিছু হবে না।''
এদিকে, ইডি হানা দিয়েছিল আইনজীবীর বাড়িতে এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''অনেকগুলো ঘুঘুর বাসা আছে যেখান থেকে সমস্ত অপারেট হচ্ছে, পোস্টিং হচ্ছে টাকা নেওয়া হচ্ছে। যত অনৈতিক কাজ চলছে ,এরকম কিছু কিছু তার কেন্দ্র আছে, সিবিআই ধীরে ধীরে ওখানে পৌঁছচ্ছে। তাদের সন্দেহ হয়েছে তারা হানা দিয়েছেন নিশ্চয়ই তথ্য প্রমাণ হাতে আছে। টাকা সব জায়গায় আছে যেখানে হানা দেবে সেখানেই টাকা। লক্ষ্য নয় কোটি কোটি টাকা পড়ে আছে বহু জায়গায় সেসব বেরোবে যেমন- যেমন সর্ষের কাছে পৌঁছাচ্ছেনসেরকম বেরোচ্ছে।টাকা লুকানোর ব্যবস্থা নেই এখন টাকা গাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে,টাকা গাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে রাস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। প্রচুর টাকা আছে। আর সেই টাকা বেরোবে আর গরিব লোকের টাকা সব।''