আরও পড়ুন– রাশিফল ২০ সেপ্টেম্বর; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
এই অফিসের একতলায় দিলীপ-রাহুল দু’জনের জন্যই ঘর বরাদ্দ রয়েছে। আলাদা ঘর রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও অন্যান্য নেতৃত্বের। সেই ঘর থেকেই এবার ঘরছাড়া হতে চলেছেন দিলীপ-রাহুল। এমনটাই অভিযোগ জানিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে চিঠি পাঠালেন দলের সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন সহ-সভাপতি শামসুর রহমান। মুরলিধর সেন লেনের নির্দিষ্ট ঘরে বসেই কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতেন দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহা। সেই ঘরই আর ব্যবহার করতে পারবেন না দিলীপ-রাহুল? বিজেপি সূত্রের খবর, গত শনিবার অফিসে যান দিলীপ ঘোষ। গিয়ে দেখেন তাঁর ঘরের বাতানকুল যন্ত্রের প্লাগ পয়েন্ট খোলা। যা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশও করেন দিলীপ ঘোষ। সূত্রের এও খবর, ২ প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকেই ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে দুই নেতার ঘরই অন্য কাজে ব্যবহার করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন– অবসরকালীন জীবনটা নিশ্চিন্তে আরামসে কাটিয়ে দিতে চাইছেন? রইল দুর্দান্ত কয়েকটি জায়গার হদিশ
রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের নির্দেশই এমন সিদ্ধান্ত বলে দাবি বিজেপির এক নেতার। যদিও দিলীপ ঘোষের এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও রাহুল সিনহা কার্যত প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, ‘‘আমি এই ব্যাপারে কিছু বলব না। আমি কিছু জানি না।’’ যদিও রাহুল সিনহাও প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও নিজের ঘনিষ্ট মহলে এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বলেই খবর।
দিলীপ ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সাংগঠনিক পদে থেকেছেন। প্রথমে রাজ্য সভাপতি। তারপর সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তিনি রাজ্য সভাপতি থাকার সময়েই পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে ভাল ফল করেছে বিজেপি। এবার পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন সেই দিলীপকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দিলীপের অনেক আগেই দলের আরেক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহারও কেন্দ্রীয় পদ চলে যায়। এবার দলের অফিসেই এক প্রকার ‘ঘরছাড়া’ হওয়ার পথে দিলীপ-রাহুল। সূত্রের খবর ঘনিষ্ঠ মহলে এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেছেন দিলীপ ঘোষ এবং রাহুল সিনহা।
গোটা বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে এদিন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে মেল করেন রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের প্রাক্তন সহ সভাপতি সামসুর রহমান। নিউজ এইট্টিন বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশকে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষ কিংবা রাহুল সিনহাকে তাঁদের ঘর থেকে উচ্ছেদ করার তিনি ঘোর বিরোধী। যদি ঘর ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয় তাহলে রাজ্য দফতরে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি ও দলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। জে পি নাড্ডাকে পাঠানো চিঠিতে সুনীল বনসল ও অন্যান্য পদ্ম নেতৃত্বকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন দলের সংখ্যালঘু মোর্চার প্রাক্তন সহ সভাপতি। চিঠিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা আসলে এ রাজ্যের রাজনীতির ময়দান থেকে দিলীপ-রাহুলকে সরানোর পরিকল্পা করছেন। তেমনটা হলে আসন্ন লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভুল হবে। কারণ, এই দুই নেতারই জনভিত্তি রয়েছে।’’