সামনেই ত্রিপুরায় পুরভোট। আর সেই ভোটেই নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। সেই লক্ষ্যে পুরভোটের শেষ লগ্নে ত্রিপুরার মানুষের মধ্যে তারকা-প্রবেশ করিয়ে মন জয় করতে চাইছে তৃণমূল। সেই কারণেই ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছে বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ, ইন্দ্রনীল সেনদের। আর শুক্রবারই ত্রিপুরায় গিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই নিয়েই প্রশ্নে দিলীপ ঘোষ বলেন, ''ভালো কথা। কিন্তু ত্রিপুরায় তৃণমূল প্রার্থী দিতে পেরেছে নাকি? কার হয়ে প্রচার করবেন এইসব তারকারা? বহু জায়গায় তো বিনা লড়াইয়ে বিজেপি জিতে যাচ্ছে। ওরা তো প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না। আগে প্রার্থী দিন, তারপর তো প্রচার করবেন। কার হয়ে কথা বলবেন ওঁরা?''
advertisement
দিলীপের কটাক্ষের অবশ্য জবাব দিতে সময় নেননি বাবুল। দিলীপ ঘোষকে এন্টারটেইনমেন্ট প্যাকেজ বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। তাঁর কথায়, ''দিলীপ ঘোষ কী বলছেন, তাতে কিছু যায় আসে না। ওঁর কথার কোনও দাম নেই। আর দিলীপ ঘোষের কথার জবাব দেওয়া মানে, দুজনের রাজনৈতিক স্তরটা একই জায়গায় নামিয়ে আনা। সেটা করতে পারব না। উনি প্রতিদিন সকালে একটা কথা বলে দেন, সারা দিন মানুষ সেই কথাতেই এন্টারটেইন হয়।''
আরও পড়ুন: 'আন্দোলনের পিছনে উস্কানি'! কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কারা, ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দিলীপ ঘোষের
দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর বিজেপিতে থাকলেও দিলীপ ঘোষের সঙ্গে গাঁটছড়া কখনই মজবুত হয়নি বাবুলের। মন্ত্রিত্ব হারানোর পর যে বিষয়টি আরও বিপক্ষে যায় আসানসোলের সাংসদের। এমনকী বঙ্গ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর ভূমিকায় খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না, তাও স্পষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে মন্ত্রিত্ব হারা বাবুলকে সংগঠনের কোনও ভূমিকাতেও দেখা যায়নি। ফলে পদ্ম ঘরে ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন এই গায়ক-সাংসদ। এরপরই প্রথমে দল ছাড়েন তিনি, পরে তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর থেকেই দিলীপ-বাবুল বাকযুদ্ধ আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।
