উল্লেখ্য, ৫ জুন ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ সাইবার প্রতারণার শিকার হন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক উৎপল কুমার বিট। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা মুম্বই পুলিশের ভয় দেখিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকা হাতায় অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকের থেকে বলেই অভিযোগ। ‘মুম্বই পুলিশে আপনার নামে মামলা রয়েছে’ বলে চিকিৎসক উৎপল কুমার বিটকে ফোন করে প্রতারকরা। ৩০ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে চিকিৎসককে। ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’-এর ঘটনায় এর আগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার লেক টাউন এলাকা থেকে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। লেক টাউন থেকেই প্রায় নগদ ২৮ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন:হাইকোর্টের নোটিস পেলেন কুণাল ঘোষ! হতে পারে জেলও? তৃণমূল নেতাকে বড় নির্দেশ আদালতের
চলতি মাসের শুরুতেই ডিজিটাল অ্যারেস্ট মামলায় চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। ৩৫০-র বেশি ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্টে ১৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতির উল্লেখ্য রয়েছে চার্জশিট। ওই চক্রের দুই অন্যতম মূল চক্রী চিরাগ কপূর এবং যোগেশ দুয়ার নাম এবং তাদের একটি সংস্থার নামও রয়েছে চার্জশিটে।
গত এপ্রিল মাসে রাজ্যে প্রথম ডিজিটাল অ্যরেস্ট সংক্রান্ত সাইবার প্রতারণা মামলার তদন্ত শুরু করে ইডি। এখনও পর্যন্ত ১২ জন ও একটি সংস্থার নামে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। মামলায় অভিযুক্ত আদিত্য দুয়াকে ফেরার দেখানো হয়েছে ইডির পক্ষ থেকে। তিনি দুবাইয়ে রয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ।