মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ”আমি কোনও তুলনা করব না পুরীর মন্দিরের সঙ্গে। পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের উচ্চতার মতোই এটা করা হবে। পুরীর সঙ্গে তুলনা করব না। ওদেরটা রাজ রাজারা করেছেন, এটা আমরা সরকারের টাকায় করছি। ২৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। রথযাত্রা এবার থেকে এখানে হবে। অছি পরিষদ তৈরি করেছি। মুখ্যসচিব, জেলাশাসক, ইসকনের প্রতিনিধি ছাড়াও সনাতন ধর্মের প্রতিনিধি থাকবেন।”
advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, ”পুরীর খাজার মতো এখানকার খাবার, গজা, প্যাড়া ইত্যাদি থাকবে। আগামি তিনমাসের মধ্যে সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে যাবে। পুরীর ধ্বজা যেমন রোজ বদল করা হয়, তেমন ভাবেই এখানেও হবে। আমরা পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করব, যাতে এই কাজে দক্ষ লোক ওরা আমাদের দেয়। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন করা হবে। রথযাত্রায় যে সোনার ঝাড়ু ব্যবহার করা হয়, সেটা আমি নিজের থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেব। পুজোর ৪৮ ঘন্টা আগে আমি এখানে আসব।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ”আগামি কয়েক হাজার বছর ধরে এটা একটা চিরস্থায়ী জগন্নাথ ধাম থাকবে। আমরা চাই সারা পৃথিবীর সমস্ত মানুষ আসুক এই জগন্নাথ ধাম দেখতে। এখানে পুলিশ পোস্ট হবে। স্বাস্থ্য ভবন ও ফায়ার ব্রিগেডের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকছে। গেস্ট রুম থাকছে পুরোহিতদের জন্য। আমি অছি পরিষদের সদস্য নই। সবটাই ওরা করবেন। ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল এই মন্দিরের উদ্বোধন হবে।”