একশো টাকার নোট ছাড়া বাদবাকি অন্যান্য সংখ্যার নোটগুলো আকারে ছোট। কিন্তু রঙ ,নকশার হুবহু মিল রয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংকের জায়গায় লেখা রয়েছে মনোরঞ্জন ব্যাংক।
আরও পড়ুন- সল্টলেকের বেসরকারি কলেজে হাতাহাতি পড়ুয়াদের মধ্যে, ঘটনাস্থলে গেল পুলিশ
একশো টাকার খেলনা নোট আসল নোটের সঙ্গে মতোই প্রায় দেখতে। এই একশো টাকার নোটে যে কেউ সহজেই ঠকে যেতে পারেন। একটি নোটের দাম দু-টাকা। বড়বাজার ক্যানিং স্ট্রিটে এই নোট এক টাকা কিংবা পঁচাত্তর পয়সা পিসে পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
advertisement
প্রশ্ন, এভাবে ভারতীয় নোটের হুবহু রং,নকশা কি নকল করা যায়? এই বিষয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা বললেন, 'একেবারে হুবহু নকশা। নকল না আসল চট করে কেউ করতে পারবে না। আইন বাঁচিয়ে রিজার্ভ ব্যাংকের পরিবর্তে মনোরঞ্জন ব্যাংক লিখেছে। তবুও যেভাবে নকশা নকল করা হয়েছে, যে কোনও ব্যক্তি যদি খেয়াল না করেন কিংবা লেখাপড়া না জানা হন, তা হলে ঠকে যেতে পারেন।'
এই নোটগুলোকে বাচ্চাদের খেলনা হিসেবে বিক্রি করছেন দোকানদাররা। বিশেষজ্ঞদের দাবী, ওই নোটগুলি প্রত্যেকটি কম্পিউটার স্ক্যান করে প্রিন্ট করা। নোটের স্ক্যান করে তার ওপরে দু-একটি জায়গায় লেখা পরিবর্তন করে সেটা বাজারে বিক্রি হয়। ভয়ঙ্কর কাণ্ড বলছে ওয়াকিবহাল মহল। এতে দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় আঘাত আসতে পারে। যারা প্রকৃত নোট স্ক্যান করে প্রিন্ট করছে, তারা যে জাল নোট ছাপাচ্ছে না এই ব্যবসার আড়ালে, তার গ্যারান্টি কোথায়!
আরও পড়ুন- বিশ্বের সেরা হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম এসএসকেএম, স্বীকৃতি নিউজ উইকের
এই সম্পর্কে প্রশাসনের কাছে সম্পূর্ণ তথ্য আছে কি? এই ধরনের ব্যবসা বাড়ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।তবুও কোন আইনে খোলা বাজারে বিক্রি হয় এমন নকল নোট? ফুল বাগানে দু একটি দোকানে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। কিছু মানুষের বক্তব্য, যেটা নিয়ে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, সেই ব্যবসা করতে না দেওয়াই ভাল।