অর্থাৎ বছরে কোটি কোটি টাকা যেত? এতো বিপুল টাকা কেন দেওয়া হত? কোন কোন একাউন্টয়ে যেত? কি উদ্দেশে লেনদেন? এসব বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। আর সেই সূত্র ধরেই মলয় ঘটকের বাড়িতে বুধবার সকাল আটটা থেকে কলকাতা সহ আসানসোলের মন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই অভিযান চালায়।ঘড়িতে ঠিক সকাল দশটা। সিবিআই টিম লেক গার্ডেন্সয়ে পৌঁছে যায়। মন্ত্রী মলয় ঘটকের তিনটি বাড়িতে একযোগে চালায় তল্লাশি।
advertisement
আরও পড়ুন: পার্থর ২০১ ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর রিক্সাচালক-দিনমজুর! সব রহস্য ফাঁস করলেন অর্পিতা
মলয় ঘটকের ৩৮৭ লেক গার্ডেন্সয়ে বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি করে। সেখানে সিবিআইয়ের চার সদস্য টিম যায়। বাড়ি ঘিরে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।চলে দীর্ঘ ক্ষণ তল্লাশি। সিবিআই সূত্রে খবর, এই বাড়িতে মলয় ঘটকের পুত্র এবং পুত্রবধু থাকেন। এই বাড়িতে নিয়ে আসা হয় লকার খোলার জন্য পারদর্শীকে। অন্যদিকে ঢিল ছোড়া দূরত্বতে ৫৮/৬৯/১ লেক গার্ডেন্স রোডে মলয় ঘটকের দ্বিতীয় বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালায়।
আরও পড়ুন: একে একে নিশানায় পার্থ-অনুব্রত-মলয়, ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলল তৃণমূল!
সিবিআই সূত্র থেকে খবর, মলয় ঘটকের এটি নতুন বাড়ি। এই বাড়িটি পুরোনো ছিল কিন্তু সেটিকে রেনোভেশন করে নতুন তৈরী করা হয়েছে। বছর খানেক আগে এই বাড়ি তৈরী হয়, দাবি প্রতিবেশীদের। সিবিআইয়ের মহিলা অফিসার সহ পাঁচ সদস্য সিবিআই টিম পৌছায়। চলে পাঁচ ঘন্টা তল্লাশি। মলয় ঘটকের তৃতীয় বাড়ি ৫৮/১৮ লেক গার্ডেন্স, এখানে সিবিআই টিম সকালে পৌঁছালেও চাবি না থাকায় অপেক্ষা করতে হয় প্রায় পাঁচ ঘন্টা। কারণ বছর চারেক আগে মলয় ঘটক পরিবার নিয়ে থাকতেন। কিন্তু তারপর বাড়িটিতে বর্তমানে আর থাকেন না। ফলে কেয়ার টেকাররা দেখভাল করেন। তাঁদের কাছে চাবি থাকে। তাঁরা মাঝে মধ্যে আসেন। ফলে ঘন্টা পাঁচেক পর প্রথম দুটি বাড়ি তল্লাশি শেষে সিবিআই টিম কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে পৌছায় তৃতীয় বাড়িতে। সেখানে তালা খুলে তল্লাশি করেন। মিনিট চল্লিশ পর সেখানে তল্লাশি সেরে বের হন।
সিবিআই সূত্রে খবর, মলয় ঘটকের এক কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি প্রাসাদসম বাড়ি। আর অভিজাত এই লেক গার্ডেন্স এলাকায় তিনটি বাড়িতে সিবিআই তল্লাসি করে।এছাড়া আলিপুর এবং গভর্নর হাউসে কাছে গেস্ট হাউসে সিবিআই টিম যায় কয়লা মামলায়। মলয় ঘটক জানান, " সাব জুডিস মেটার কিছু বলবো না। " অন্যদিকে বুধবারই সকাল আটটা থেকে সিবিআই টিম মন্ত্রী মলয় ঘটকের আসানসোলের পর পর তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ি ঘিরে ফেলে।চলে দীর্ঘক্ষন তল্লাশি। সিবিআই টিম দিনভর কলকাতা একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নথি, ডকুমেন্টস বাজেয়াপ্ত করেছে। সব মিলিয়ে কয়লা পাচার মামলা ফের সক্রিয় সিবিআই টিম। গরু পাচার মামলার পর এবার কয়লাপাচার মামলায় গতি বাড়াচ্ছে সিবিআই।