১) সাগরদিঘীর মতোই এখানেও প্রার্থী নিয়ে দোলাচল। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়, ২০২১ সালে বিক্ষুব্ধ হিসেবে পরিচয় পেয়েছিলেন। গত দু’বছরেও তাঁকে সেই ভাবে সামনের সারিতে থেকে শাসক দলের হয়ে রাজনীতি করতে দেখা যায়নি৷ তাঁকে প্রার্থী করায় দলের পুরানো কর্মীদের একাংশের মধ্যে দোটানা কাজ করেছে।
২) ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনে বিজেপির যা জয়ের ব্যবধান ছিল, ২০২১ সালের ভোটে তা অনেকটা কমে যায়৷ তবুও আসনটি জেতে বিজেপি৷ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিতালি রায় হেরে যাওয়ার কারণ হিসাবে আলোচনায় উঠে আসে, তার বিরুদ্ধে চাকরির জন্য অর্থ নেওয়ার অভিযোগ। বিশেষ করে ধূপগুড়ি শহরাঞ্চলে তার একটা প্রভাব পড়ে। এবার প্রার্থী বদল হলেও, ধূপগুড়ি শহরাঞ্চলে সাংগঠনিক দুর্বলতা থেকে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
advertisement
৩) চা বলয়ের ভোট পাওয়ার জন্য সব রকমের প্রচেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সরকারি ভাবে যেমন একাধিক প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। যদিও বারবার দলের শীর্ষ নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরেও, নেতাদের চাবাগানমুখী করা যাচ্ছে না৷ জনসংযোগের মস্ত বড় অভাব দেখা দিয়েছে। চাবলয় থেকে নিয়ে এসে পাশের জেলার ছেলে প্রকাশ চিক বরাইককে রাজ্যসভার সাংসদ করা হলেও, চাবাগানে শাসক দল ছাপ ফেলতে পারছে না।
৪) রাজবংশী ভোট পেতে সমস্ত রাজনৈতিক কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে৷ তবে কালিয়াগঞ্জের ঘটনার এক প্রভাব সর্বত্র পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই৷ রাজবংশী সম্প্রদায় থেকে নতুন মুখ তুলে আনা যায়নি।
৫) বিধায়ক হিসাবে প্রয়াত বিষ্ণুপদ রায়ের একটা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ছিল। অনেকেই মনে করছেন আবেগে ভোট হয়েছে৷ যদিও ধূপগুড়ি মহকুমা নিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় প্রচারে জোর দেওয়ায় শাসক দলের জয় নিশ্চিত হয়েছে।
৬) মিতালি রায় শেষ মুহূর্তে দলবদল করেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে দলের একাংশের আপত্তি থাকলেও, মিতালির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একটা প্রভাব আছে৷ যা অনেকটা ভোট পেতে সাহায্য করেছে।
৭) বাম-কংগ্রেস জোট জিততে না পারলেও, অনুঘটকের ভূমিকায় কাজ করে গিয়েছে। তারা যে পরিমাণ ভোট পেয়েছে সেই ভোটের কয়েকাংশ জোড়া ফুল শিবির পেলে, ভোটের অঙ্ক বদলে যেত বলে অনেকে মনে করছেন।