শুক্রবারই ঘটনাস্থলে দেখা যায় রাস্তার মধ্যে একটি গর্ত হয়েছে। প্রথমে সেটাকে কেউই গুরুত্ব দেয়নি। ব্যস্ত রাস্তায় প্রায় স্বাভাবিক কাজকর্মই চলছিল। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকরা প্রথমে সেটা দেখতে পেয়ে পদক্ষেপ করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিক অমরেশ ঘোষ বলেন, "গতকাল সকালে আমরা প্রথমে একটি গর্ত দেখতে পাই। ভালো করে দেখতে গিয়ে দেখা যায় ভিতরে অনেকটা অংশ ফাঁকা হয়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই জায়গাটা ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুরসভায়। ওদের আধিকারিকরা দ্রুত সেই জায়গাটা পর্যবেক্ষণ করতে আসে এবং কাজ শুরু করে।"
advertisement
আরও পড়ুন: নাট-বোল্ট ছাড়াই ব্রিটিশরা তৈরি করেছিল, ওজন সামলাতে নেই পিলার! হাওড়া ব্রিজের অজানা তথ্য...
পুরসভার আধিকারিক অর্নব বন্দোপাধ্যায় বলেন, "কাল থেকেই কাজ শুরু হয়েছে আমাদের। প্রথমে দেখা যায় গঙ্গা জলের পাইপে একটা লিক হয়েছিলো। সেটা সারানো হয়। কিন্তু সেই লিকের কারণে অনেকটা মাটি সরে গিয়েছিল। পরে দেখা যায় আরও জল আসছে। আমরা সেই পাইটি পরিবর্তন করে দিচ্ছি। আশা করি তিন চার ঘন্টার মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব।" এলাকার ব্যবসায়ী শচীন জয়সওয়াল জানিয়েছেন, "খুবই ব্যস্ত এই এলাকাটি। এখানে যেভাবে মানুষ যাতায়াত করে সেভাবেই চলে গাড়ি। এই গর্তটি সকলের নজর এড়িয়ে যাওয়ারই কথা। আর অত ছোট গর্তের ভিতরে কী অবস্থা সেটা দেখে বোঝারও উপায় নেই। পুলিশ আধিকারিকদের ধন্যবাদ তাঁদের জন্যই এতবড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। এখন দ্রুত সব ঠিকঠাক হলেই ভালো। না হলে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।"
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সুরেশ ঝাঁ বলেন, "এখানে দুটো জলের লাইন রয়েছে। একটা গঙ্গা জলের আরেকটা পানীয় জলের। সেখান থেকে জল লিক করছিলো। তবে এটা মেরামতির দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। রাস্তার পাশে সেতু রয়েছে এই দিকেও খেলায় রাখতে হবে। ভবিষ্যতে ফের দুর্ঘটনা এড়াতে।" কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে রয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে প্রশাসন।
UJJAL ROY