*ভারতের প্রকৌশলের সেরা নমুনার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম হাওড়া ব্রিজ। এই সেতু বর্তমানে ৮২ বছরের তরুণ। বহু চলচ্চিত্র এবং টিভি সিরিয়ালে সেতুর দেখা মেলে, তা সে বলিউড হোক বা টলিউড। এই সেতু হাওড়া এবং কলকাতার (হাওড়া-কলকাতা সেতু) ধীরে ধীরে পরিবর্তনের সাক্ষী। মানুষ, গাড়ি, গঙ্গার চলাচলের পাশাপাশি কীভাবে শহর কলকাতা উন্নতির পথ ধরে এগিয়ে গেল, তা প্রত্যক্ষ করেছে হাওড়া ব্রিজ।
*ইতিহাসে পাওয়া যায়, আজকের হাওড়া ব্রিজ যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেখানে একটি পুরানো সেতু ছিল। যাকে বাংলার মানুষ পুরানো ব্রিজ বলে জানে। সেই সেতুর জায়গায় ১৭ অক্টোবর, ১৮৭৪ সালে শুরু হয়েছিল এই হাওড়া ব্রিজের নির্মাণ। রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী অর্থাৎ আর্কিটেক্ট ব্র্যাডফোর্ড লেসলি এই সেতুর ডিজাইন করেছিলেন। যদিও এই সেতু মাত্র ২৫ বছরের জন্য নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু তা আজও গরবের সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ১৮৭৪ সালে প্রথম হাওড়া সেতু নির্মিত হয়। (ছবি: Columbia.edu)
*হাওড়া ব্রিজের মাঝখান থেকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার গল্প নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয়। কোনও জাহাজ বা নৌকা চলে গেলে মাঝখান থেকে সেতুটি খুলে দেওয়া হয়। সে সময় নৌকা আসার সময় নির্ধারিত ছিল এবং সে অনুযায়ী লোকজন যাতায়াত করত। ১৯০৬ সাল থেকে, সেতুটি শুধুমাত্র রাতে জলযানের জন্য খোলা হত। এরপর সেতুটি ভেঙে ফেলা হয় নতুন সেতুটি নির্মানের জন্য। (ছবি: কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট)
*হাওড়া ব্রিজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর উপর অবস্থিত বড় খিলানযুক্ত একটি ঝুলন্ত সেতু৷ এই সেতু দিয়ে দৈনিক ৮০,০০০ যানবাহনও প্রায় ১০ লক্ষ পথচারী চলাচল করে। জাতীয় সেতুগুলির মধ্যে রবীন্দ্র সেতু বিশ্বে ষষ্ঠ বৃহত্তম। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এই সেতুতে ট্রামও চলত, কিন্তু অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এতে ট্রাম চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। (ছবি: ক্যানভা)