তবে সাংসদ হিসেবে এবারের মেয়াদ শেষ করলেও আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন তারকা সাংসদ৷ বরং ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে তিনি জানিয়েছেন, ভোটে দাঁড়াবেন কি না তা নিয়ে এখনও তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি৷ নিজের মনের কথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তিনি জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন দেব৷ একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিজেপির কোনও নেতার সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি৷
advertisement
আরও পড়ুন: সিপিএমের ভোট প্রস্তুতি শুরু, প্রার্থী কারা? জেলায় জেলায় গেল বড় নির্দেশ
কয়েকদিন আগেই ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সহ তিনটি পদ থেকে ইস্তফা দেন তৃণমূল সাংসদ দেব৷ এর পরই তিনি আর ঘাটাল থেকে ভোটে লড়বেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে৷ গতকাল সংসদ তাঁর বসার আসনের একটি ছবি দিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দেব লেখেন, আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা! দেবের এই পোস্টের পরই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়৷
যদিও ইস্তফার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে দেব এ দিন বলেন, ‘কে বলল আমি ইস্তফা দিচ্ছি? কেনই বা ইস্তফা দিতে যাব?’
তবে তিনি যে এবার ভোটে দাঁড়াবেন, সেই নিশ্চয়তাও দেননি দেব৷ বরং এ বিষয়ে যে এখনও তিনি দোলাচলে রয়েছেন এবং ভোটে না দাঁড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ৷ দেব বলেন, ‘আজকে সত্যিই সাংসদ হিসেবে এবারের কার্যকালের শেষ দিন ছিল । আমি ভোটে দাঁড়াব কি দাঁড়াব না জানি না। হ্যাঁ মাথায় কিছু চলছে, আমি মিথ্যে বলব না। এবারে হয়তো নাও দাঁড়াতে পারি। আমার কাছে সম্পর্ক আসল। আমার সঙ্গে দিদির কথা হয়েছে। আমি আমার মনের কথা দিদিকে বলেছি।’
গতকালই বিজেপি নেতা এবং অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ দাবি করেছিলেন, দেবের সঙ্গে বিজেপির এক নেতার কথা হয়েছে৷ এ দিন রুদ্রনীলকেও জবাব দিয়েছেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ৷ দেব বলেন, ‘ও হয়তো আমার থেকে বেশি জানে৷ আমার সঙ্গে সত্যিই কারও কথা হয়নি৷ পদে থাকি বা না থাকি, কাজ করার জন্যে পদ লাগে বলে মনে করি না। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে দাঁড়াব কি না তা দিদির উপর নির্ভর করবে।’
দেব অনীহা প্রকাশ করলেও দল যে ফের তাঁকেই ঘাটালে প্রার্থী করতে আগ্রহী, ইতিমধ্যেই সেই ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শেষ পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় দেবের নাম থাকে কি না, তা অবশ্য সময়ই বলবে৷